ওয়েব ডেস্ক : অসমের (Assam) পর এবার সারা দেশজুড়ে তৈরি হবে ডিটেনশন ক্যাম্প (Detention Camp)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ মতে, পশ্চিমবঙ্গেও তৈরি করতে হবে এই ক্যাম্প। অনুপ্রবেশকারীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতেই এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অমিত শাহের (Amit Shah) মন্ত্রক। সিএএ-তে সংশোধনী এনে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব হিন্দু, জৈন, পার্সি, শিখ, খ্রিষ্টানরা ভারতে ধর্মীয় কারণে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। তবে নাগরিকত্ব আইনে ধর্মীয় কারণ যুক্ত হওয়ায়, তাতে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে বিরোধীরা।
বিতর্ক শুরু হয়েছিল আগেই। অসমে যখন ডিটেনশন ক্যাম্প (Detention Camp) তৈরি হয়েছিল, তখন তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল বিরোধীরা। এরমধ্যেই ভোটের আগে বিহারে শুরু হয় এসআইআর (SIR)। বাংলাতেও তা শুরু হবে বলে প্রস্তুতি শুরু করে নির্বাচন কমিশন। প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে তৃণমূল (TMC)। এই চলতি বিতর্কের মধ্যেই একধাপ এগিয়ে এবার ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির জন্য নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
আরও খবর : নতুন মাইলফলক স্পর্শ করল রিলায়েন্স জিও!
বিজেপির দাবি, মূলত বাংলাদেশ থেকে যেসব গরিব নমঃশূদ্ররা এদেশে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের সকলকেই হিন্দু হিসেবে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অন্যদিকে অনুপ্রবেশকারীদের দেশ ছাড়তে হবে।
ধর্মের ভিত্তিতে এই ভাগাভাগি নিয়েই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল থেকে কংগ্রেস। এ ব্যাপারে তারা ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনকে সামনে আনছেন। ওই আইনে কোনও ধর্মের কথা উল্লেখ ছিল না। ২০১৯ সালে সংশোধিত আইনে এই ধর্মের কথা সামনে আনে বিজেপি। এনআরসির (NRC) নামে অসমে তৈরি হয় ডিটেনশন ক্যাম্প। ইন্ডিয়া জোটের দাবি, মুসলিমদের কোণঠাসা করতেই এই উদ্যোগ মোদি সরকারের। ভিন রাজ্যে বাংলা বলায় যেসব বাঙালি আটক হচ্ছে, তাদের দুর্ভোগ বাড়াতেই কৌশলে আনা হয়েছে এই আইন। আর তাই এ নিয়ে চলছে বিতর্ক।
দেখুন অন্য খবর :