ওয়েবডেস্ক- কোল্ডরিফ (ColdRif) কাফসিরাপে (Cough Syrup) মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭। কাঠগড়ায় মধ্যপ্রদেশের (Madhypradesh) ছিন্দওয়ারার (Chhindwara) কাফসিরাফ কোম্পানি। কেন্দ্র দুই বছর আগে ক্লোরফেনিরামিন ম্যালেট (২ মিলিগ্রাম) এবং ফেনাইলেফ্রিন এইচসিএল (৫ মিলিগ্রাম) ধারণকারী কাশির সিরাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করে একটি স্পষ্ট সতর্কতা জারি করেছিল।
কিন্তু সেই নির্দেশে কর্ণপাত না করার ফল ভুগতে হল ১৭টি শিশুর প্রাণের বিনিময়ে। সেই একই ফর্মূলায় কোল্ডরিফ কাফসিরাপটি তৈরি চলছিল ফার্মা কোম্পানি গুলিতে। ২০২২ এর ১৮ ডিসেম্বর একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপরে উল্লেখিত কমপাউন্ড ৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের দেওয়া উচিত নয়। কারণ এই ফর্মূলা শিশুদের শরীরে ঝুঁকির কারণ। সরকার ওষুধ কোম্পানিগুলির জন্য এই পণ্যগুলিতে একটি বিশিষ্ট সতর্কতা লেবেল অন্তর্ভুক্ত করা বাধ্যতামূলক করে। কিন্তু তবে, এই নির্দেশ সত্ত্বেও, তা উক্ষেক্ষা করে ওষুধ কোম্পানিগুলি।
কিন্তু অনেকেই পণ্যের লেবেলিং পরিবর্তন করেনি। এমনকি রাজ্য সরকারগুলিও কোনও বিধিনিষেধ প্রয়োগ করেনি, জনসচেতনতা মূলক প্রচার শুর করেনি। তদন্তে জানা গেছে যে কোল্ডরিফ কাশির সিরাপে প্যারাসিটামল, ক্লোরফেনিরামিন এবং ফেনাইলেফ্রিনের নিষিদ্ধ সংমিশ্রণ ছিল, এতে কোনও সতর্কতা লেবেল ছিল না। ১,৪৭০টি ঔষধ কোম্পানি এখনও WHO-GMP সার্টিফিকেশনের জন্য আবেদন করেনি। মধ্যপ্রদেশ ভিত্তিক শ্রী সান ফার্মা, যারা কাশির সিরাপ বিক্রি করত, তাদেরও এই সার্টিফিকেট ছিল না।
আরও পড়ুন- বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ!
উল্লেখ্য, গাম্বিয়া ট্র্যাজেডির পর, কেন্দ্র প্রতিটি কোম্পানির জন্য WHO-GMP সার্টিফিকেশন নেওয়া বাধ্যতামূলক করে। দেশে মোট ৫,৩০৮টি এমএসএমই ওষুধ কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ৩,৮৩৮টি কোম্পানি সার্টিফিকেশন পেয়েছে, যেখানে ১,৪৭০টি কোম্পানি এখনও আবেদন করেনি। কেন্দ্র অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ((ONDLS) চালু করেছে। যেখানে অনলাইন ওষুধ, প্রসাধনী এবং চিকিৎসা পণ্য সম্পর্কিত লাইসেন্স আবেদন করা যাবে। তবে, এখন পর্যন্ত মাত্র ১৮টি রাজ্য এই ব্যবস্থায় যোগ দিয়েছে, বাকি রাজ্যগুলি এখনও নিষ্ক্রিয় রয়েছে।
দেখুন আরও খবর-