কলকাতা: তিলোত্তমায় একের পর এক বিল্ডিং বিপর্যয়ের ঘটনা অব্যাহত। বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বাগুইআটি, দক্ষিণ নারায়ণপুরের পর এবার কালিকাপুর। আবারও হেলে পড়ে একটি বহুতল। যার জেরে বহুতলের বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। শুধু তাই নয়, ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার পরেই বাসিন্দাদের তরফ থেকে বিল্ডিং প্রমোটারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনভাবেই তা সম্ভব হয়না বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে ওই বিল্ডিংয়ে করা যাবেনা কোনরকম কাজ। যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম উড়েছে বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: এবার চিকিৎসকদের রস্টার চেয়ে পাঠাল স্বাস্থ্য দফতর
ট্যাংরার ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল বাইপাসের ধারে কালিকাপুরে। ট্যাংরায় যেমন একে ওপরের ঘাড়ে দুটো বিল্ডিং হেলে পড়ে ঠিক সেই দৃশ্যই এদিন ফিরে আসে কালিকাপুর। একে ওপরের ঘারে হেলে পড়ে দুটি আবাসন। যার জেরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, কয়েক মাস আগেই আচমকা তারা টের পান আবাসনটি একদিকে বসে গিয়ে হেলে পড়েছে। তড়িঘড়ি সমস্ত বিষয়টি প্রমোটারকে জানানো হলেও তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি। বরং ইদানিংকালে তার সাথে কোনভাবেই যোগাযোগ করা যায়না বলে জানাচ্ছেন বাসিন্দারা।
তবে বাসিন্দাদের দাবি আবাসনের বয়স খুব বেশি নয়। বছর পাঁচেক আগে তৈরি করা হয়েছিল সেটি। কিন্তু তার মধ্যেই কেন এই বেহাল দশা উঠছে প্রশ্ন। যদিও কেন এই বেহাল দশা তার উত্তর দিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছিলেন, বাম আমলের সময় থেকে জলাভূমি বুলিয়ে চলছে বেআইনি নির্মাণের কাজ যার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। শুধুতাই নয় বিল্ডিং নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রীও যার জেরে এই ঘটনার সাক্ষী থাকতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
দেখুন অন্য খবর