নয়া দিল্লি: ‘প্রধানমন্ত্রী ধনধান্য কৃষি যোজনা’র (Dhandhanya Krishi Yojna) ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। ১০০ জেলায় যেখানে উৎপাদন কম, সেখানে চলবে এই প্রকল্প। উপকৃত হবেন ১. ৭ কোটি কৃষক।
অষ্টমবারের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
পণ্যের চাহিদায় ভাটা পড়েছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার কমেছে। খরচের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না মধ্যবিত্তের আয়। এর জেরে কেনাকাটায় প্রভাব পড়েছে। কমেছে পণ্যের চাহিদাও। বেকারত্ব। লাগামছাড়া মুদ্রাস্ফীতি। নির্বিকার নরেন্দ্র মোদির সরকার। এরমধ্যে সংসদে বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
আরও পড়ুন: আয়কর লাগবে না ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত, বিরাট ঘোষণা নির্মলার
সরকারি এই প্রকল্পের লক্ষ্য, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি কৃষকদের জন্য বিশেষ গ্রামীণ এলাকায় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে কেন্দ্র সরকার। এই স্কিমটি কৃষকদের আধুনিক কৃষি পদ্ধতি অবলম্বন করতে, ফসল বাড়াতে ও উৎপাদনের সামগ্রিক গুণমাণ উন্নত করতে উৎসাহিত করবে কৃষকদের। যা করতে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা এবং ভর্তুকি দেবে মোদি সরকার। ধনধান্য কৃষি যোজনা, বহু ফসলি চাষ, পঞ্চায়েত স্তরে স্থিতিশীলতার মাধ্যমে ১.৭ কোটি কৃষকদের সাহায্য করবে।
এই কর্মসূচী ১০০ জেলাকে কভার করবে। এর মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল বীজের জন্য একটি জাতীয় মিশন চালু করা হবে। সবজি ফলনের জন্য বড় পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। রাজ্যগুলির
সঙ্গে এই বিষয়ে জোট বেঁধে সবজি ও ফলের চাষ চালু করা হবে।
এদিন অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার ডালের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের দিকে কাজ করছে। ডালের ব্যবহার ঊল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সরকার ডালে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য ৬ বছরের মিশন চালু করবে। শাকসবজি ও ফল নিয়ে চলবে ব্যাপক কর্মসূচী।
এদিন অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামীণ এলাকার সমৃদ্ধির জন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে সমন্বয় নীতি তৈরি করবে সরকার’।
নয়া বাজেটে আর কী কী ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর?
১. কিষান ক্রেডিট কার্ডে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বাড়ানো হল। ৩ লক্ষ থেকে বেড়ে হল ৫ লক্ষ।
২. বিহারে তৈরি হবে মাখনা বোর্ড।
৩. ধনধান্য যোজনায় ১.৭ কোটি কৃষককে সাহায্য
৪. মেডিকেল কলেজগুলিতে আগামী ৫ বছরে বাড়বে ৭৫ হাজার আসন সংখ্যা
৫. নয়া আয়কর বিল আনা হল
দেখুন আরও খবর: