বাঁকুড়া: ছদ্মবেশে রাহা জমিদার বাড়িতে (Raha Bari Durga Puja ) অধিষ্ঠিত হন দেবীদুর্গা। সেই থেকেই দেবীদুর্গার আরাধনা। ৩০০ বছর ধরে জমিদারবাড়ি ইতিহাস সাক্ষী হয়ে আপনারই অপেক্ষায়। সেই স্মৃতি আজও লুকিয়ে রয়েছে জমিদারবাড়ির আনাচে কানাচে।জমিদারদের দাপট কমেছে,কমেছে জৌলুস।তবে পুজোর আন্তরিকতায় কোনও ঘাটতি পড়েনি।এখনও রীতি মেনে পুজোপাঠের আয়োজন হয় এই বনেদি বাড়িতে।
জমিদার না থাকলেও প্রাচীন ও প্রানের পুজোর টানে দুর্গাদালানে দেবীর আরাধনা করেন জমিদার বাড়ির বংশধররা। ছদ্মবেশে এসেছিলেন দেবী দুর্গা। স্বপ্নাদেশে সে কথাই জানতে পারেন রাহা জমিদার বাড়ির (Raha Bari Durga Puja ) আদি পুরুষ। তখন থেকেই শুরু হয় দুর্গাপুজো। বর্ধমান রাজার তালুকদার ছিলেন এই রাহা পরিবারের আদি পুরুষ। জমিদারির জৌলুসে ভরে উঠেছিল বাড়ি আর কোষাগার। জমিদারবাড়ির প্রাঙ্গণে আজও দাঁড়িয়ে সতেরো চূড়ার রাসমঞ্চ, টেরাকোটার নিপুণ কারুকার্য্যে ভরা গিরিগোবর্ধন মন্দির আর দুর্গাদালান।
আরও পড়ুন: নারী শক্তির আরাধনায় নারীরাই ‘ব্রাত্য’, প্রথা নাড়াজোল রাজবাড়ির পুজোয়
কথিত আছে একদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এক ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে আসেন পরিবারের এক পূর্বপুরুষ। জমিদারবাড়িতে প্রবেশ করতেই হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যান সেই শিশু। স্বপ্নে জানান দেন, তিনি দেবী দুর্গা। সেখানেই শুরু হয় দুর্গাপুজো। আজ প্রায় ৩০০ বছরের সেই স্মৃতি বহন করছে এই জমিদার বাড়ি। সেই প্রাচীন পুজো বংশ পরম্পপরায় আজও টিকে আছে রাহাদের প্রাচীন দুর্গাদালানে। দেবী দুর্গা ৩০০ বছর ধরে হয়ে আসছে দেবীর আরাধনা বংশ পরম্পরায় চলছে ঐতিহ্য বহন।
দেখুন ভিডিও
