আলিপুরদুয়ার: ভোটার তালিকায় (Voter List) নাম তুলতে শ্বশুরের নামকে নিজের পিতৃপরিচয় হিসাবে ব্যবহার! এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এল আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার হ্যামিলটনগঞ্জের (Hamiltongunge) রবীন্দ্রনগর এলাকায়। অভিযোগের তির স্থানীয় এক সক্রিয় বিজেপি কর্মী রঞ্জিত সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি এলাকায় চা বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত (District news)।
অভিযোগ, রঞ্জিত সরকার ভোটার তালিকায় নিজের বাবার জায়গায় শ্বশুর নাণ্টু দে সরকারের নাম উল্লেখ করেছেন। প্রশ্ন করা হলে রঞ্জিত আমতা–আমতা করেই স্বীকার করেন,“হ্যাঁ, শ্বশুরকেই বাবা দেখিয়ে নাম তুলেছি।” তাঁর দাবি, নাণ্টু দে সরকার তাঁকে ছোটবেলা থেকে লালন–পালন করেছেন।এলাকায় কান পাতলেই শোনা যায়, রঞ্জিত নাকি মূলত বাংলাদেশি। এখনও নাকি বাংলাদেশে যাওয়া–আসা করেন।
আরও পড়ুন: সাংসদকে ‘অপদার্থ’ বলে ঘেরাওয়ের নিদান যুব তৃণমূল নেতার, পাল্টা চড়াও বিজেপি
স্থানীয়দের দাবি, তিনি এলাকার বাসিন্দা নন। এখানে এসে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতেই ঘরজামাই হিসাবে থাকেন। এবং সেই শ্বশুরকেই ‘বাবা’ দেখিয়ে নানা সরকারি নথি তৈরি করেছেন। প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান প্রাণ কুমার সরকারের বক্তব্য,“রঞ্জিত এই এলাকার বাসিন্দা নন। এটা সকলেই জানেন। বি.এল.ও.–৩ ও বি.এল.ও.–২, দু’জনকেই আমি জানিয়েছিলাম যাতে তার নাম ভোটার তালিকায় না ওঠে। কোথা থেকে এসেছে, কেউ জানে না।”
তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি পরিমল সরকারের অভিযোগ আরও গুরুতর। তাঁর কথায়,“যেখানে যেখানে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য আছে, সেখানে বাইরের লোকদের শ্বশুর বা প্রতিবেশীর নাম বাবার জায়গায় বসিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলা হচ্ছে। এটাই চলছে।”
অন্যদিকে বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক অলক মিত্র পাল্টা দাবি করেন, “তৃণমূল এস.আই.–এর ভয়ে ভিত হয়ে যাচ্ছে। যাঁরা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, তাদের নামই বাদ যাবে। আর হিন্দু, খ্রিষ্টান, শিখ, জৈন—যারা এসেছে, তারা সি.এ.এ.-এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাবে। সেটা আমরা করছি।” ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বাড়ছে। প্রশাসনের তরফে তদন্ত শুরু হবে কি না, তা এখন দেখার।
দেখুন আরও খবর:







