ওয়েব ডেস্ক: নাগরাকাটায় বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে রক্তাক্ত খগেন মুর্মু (Khagen Murmu)। হামলা চালানো হয় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের (Shankar Ghosh) উপরও। মাথা ফেটে রক্তাক্ত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। এরপরই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন অমিত মালব্য। হামলার নেপথ্যে শাসকদলকেই নিশানা করেন তিনি।
ধস বিধ্বস্ত নাগরাকাটা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন শঙ্কর ঘোষ, খগেন মুর্মু সহ বিজেপির সাংসদ ও বিধায়করা। সেখানে গিয়ে মারধরের মুখে পড়েন তাঁরা। এলাকার কিছু মানুষের গুন্ডামির মুখে নাকাল হন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু। প্রবল আঘাত ও মারে মাথা ফেটে যায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর। রক্তে সারা মুখ ভিজে যায় তাঁর। পিছন থেকে বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে ধাক্কা মারা হয়। কিন্তু এরা কারা, কোনও দলের সমর্থক কিনা, এখনও নিশ্চিত জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: বিপর্যস্ত দার্জিলিং-সিকিম, কী বললেন রাহুল?
রবিবারই বিজেপির সমস্ত জনপ্রতিনিধি ও কর্মীদের অবিলম্বে উত্তরবঙ্গের দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো ও সাধ্যমতো সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কী কী সাহায্যের প্রয়োজন, তা জানতে চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে। বিশেষত, উত্তরের যে জেলাগুলি তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, সেই জেলাগুলির নেতাদের অন্যান্য জেলায় কর্মী ও ত্রাণ পাঠিয়ে, অর্থসাহায্য করে কিংবা সম্ভব হলে নিজে গিয়ে সাহায্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো রবিবার থেকেই নিজ নিজ এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব।
নাগরাকাটার বামনডাঙা যাওয়ার মুখে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গাড়িতে পাথর, জুতো, লাঠি ছোড়া হয়। বিক্ষোভের মুখে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন বিজেপি বিধায়ক-সাংসদরা। পিছনে তৃণমূল আছে, অভিযোগ করেন বিজেপি নেতারা।
দেখুন খবর: