ক্যালিফোর্নিয়া: বিগত কয়েকদিন ধরে একের পর এক বিমান দুর্ঘটনা (Plane Crash) ঘটে চলেছে। প্রথমে কাজাখস্তান (Kazakhstan), তারপর দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea), আর এবার ক্যালিফোর্নিয়া (California)। আমেরিকার (USA) এই রাজ্যে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল অন্তত দু’জনের। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। গুরুতর আহত বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে। লস অ্যাঞ্জেলসের (Los Angeles) দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে ফুলারটন মিউনিসিপ্যাল বিমানবন্দরের কাছে একটি কারখানার ছাদের উপর ভেঙে পড়ে যাত্রীবাহী ছোট একটি বিমান। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল বাহিনী। বিমান ভেঙে পড়ার পরপরই কারখানাটিতে আগুন ধরে যায়, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: নিউ অর্ল্যান্স শহরের হামলাকারী আইসিস জঙ্গি, আততায়ী আমেরিকার প্রাক্তন সেনা
ফুলারটন পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে বিমানটিতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন এবং মৃত ও আহতরা কি বিমানের যাত্রী, না কারখানার কর্মী, তা এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ‘ফ্লাইঅ্যাওয়ার’-এর তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি আকারে ছোট ছিল এবং যাত্রীসংখ্যাও বেশি ছিল না। বিমানটি ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ভেঙে পড়ে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক বিমান দুর্ঘটনা দাগ কেটেছে বিশ্ববাসীর মনে। গত ডিসেম্বর মাসে কাজাখস্তানে ভেঙে পড়েছিল আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান, যেখানে প্রাণ হারান ৩৮ জন। এর কিছুদিন পর দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ারলাইন্সের একটি বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের। সেই দুঃসহ স্মৃতি মুছতে না মুছতেই আবার ক্যালিফোর্নিয়ায় ঘটল ভয়াবহ এই বিমান দুর্ঘটনা। বিমান দুর্ঘটনা রোধে আরও উন্নত প্রযুক্তি ও তত্ত্বাবধান প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তদন্ত শেষ হলে এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দেখুন আরও খবর: