ওয়েব ডেস্ক : রাশিয়ার পর এবার ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল দক্ষিণ আমেরিকা (South America)। এই কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল ৭.৫। এর জেরে দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কিছু দেশে জারি হয়েছিল সুনামি (Tsunami) সতর্কতা। তবে পরে সেই সুনামির আশঙ্কা খারিজ করে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, এই ভূমিকম্পের (Earthquake) উৎসস্থল ছিল আর্জেন্টিনার উশুয়াইয়া শহর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ড্রেক প্যাসেজে। সমুদ্রস্থল থেকে ১০.৮ কিলোমিটার নীচে ছিল এই কম্পনের উৎপত্তিস্থল। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তেমন ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে খবর। তীব্র কম্পনের পর অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে জারি করা হয়েছিল সুনামিক সতর্কতা। কিন্তু পরে সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দেওয়া হয়।
আরও খবর : নেদারল্যান্ডসের প্রবাসী বাঙালি শতরূপা বসুর লেখা বই ‘যাদের দেশ বলে কিছু নেই’ প্রকাশিত হল
গত ১৭ অগাস্ট ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) পূর্বাঞ্চলে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই ঘটনায় ২৯ জন আহত হন। মধ্য সুলাওয়েসি প্রদেশের পোসো জেলার ১৫ কিলোমিটার উত্তরে এই ভুমিকম্পটি হয়েছিল। এর পরে কমপক্ষে ১৫টি আফটারশক অনুভূত হয়েছিল। তবে সেই সময় কোনও ধরণের সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি।
তার আগে গত ৩০ জুলাই বড় মাপের ভূমিকম্পের (Earthquake) ঘটনা ঘটেছিল রাশিয়ায় (Russia)। সেই কম্পনের মাত্র রিখটার স্কেলে ছিল ৮.৮। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রাশিয়ার পূর্ব ক্ষেত্র কামচটকা পেনিনসুলা। এই ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশে য়েটি অনুভূত হয়েছিল। যার কারণে জারি করা হয়েছিল সুনামির সতর্কতা। রাশিয়ার উপকূলবর্তী অঞ্চলে ১৩ মিটার উঁচু বিরাট ঢেউও দেখা গিয়েছিল। সেই কারণে উপকূলের সাধারণ মানুষকে এলাকা ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। প্রশ্ন উঠছে, পর পর এমন ভূমিকম্পের কারণ কী? তাহলে কি সমুদ্রের তলায় কোনও ধরণের বিশাল পরিবর্তন হচ্ছে? যার ফলে ভবিষ্যতে আরও ভয়ানক কিছু অপেক্ষা করছে মানুষের জন্য? অবশ্য সেটা ভবিষ্যতই বলবে।
দেখুন অন্য খবর :