নয়াদিল্লি: আগামী ২৬ বিধানসভা ভোট (West Bengal Assembly Election) ঘিরে বিজেপির (BJP) অন্দরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কে হবেন দলের প্রকৃত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী? কেন্দ্রীয় অবজারভার সুনীল বনশল, নাকি ইলেকশন কমিটির প্রধান ভূপেন্দ্র যাদব? এই দ্বন্দ্ব নিয়েই এখন চিন্তিত দলের বহু নেতা–কর্মী।
দলের অন্দরমহলের খবর, দু’জনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ হলেও তাঁদের সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়। ফলে আশঙ্কা – নির্বাচনের সময় কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তা নিয়ে দ্বন্দ্ব বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিসর্জনে বাজলো ডিজে বক্স, আটক করল পুলিশ
প্রশ্ন উঠছে, যদি দলের মধ্যে ‘মাথা ভারি প্রশাসন’ শুরু হয়, তাহলে ২০২১ সালের মতো আবার কি সাংগঠনিক অস্থিরতার কারণে খারাপ ফল করবে বিজেপি? ইতিহাস পাতায় চোখ রাখলে দেখা যায়, বিজেপিতে বহু বছর ধরেই ইলেকশন কমিটি বিদ্যমান। শুধু ২০১৯, ২০২১ ও ২০২৪ সালে তা কার্যকর ছিল না। সেই সময় কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের ভূমিকা সামলেছেন যথাক্রমে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও সুনীল বনশল। এর আগে কখনও রাজনাথ সিং, কখনও অরুণ জেটলি, আবার কখনও নির্মলা সীতারাম পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কিন্তু এবারের পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে সুনীল বনশল ইতিমধ্যেই দীর্ঘদিন ধরে এই রাজ্যের সংগঠন সামলাচ্ছেন। তাঁর নির্দেশ এতদিন চূড়ান্ত ধরা হয়েছে। কিন্তু এবার ভূপেন্দ্র যাদবকে ইলেকশন কমিটির প্রধান করে আলাদা করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে দ্বন্দ্ব আরও প্রকট।
ইলেকশন কমিটি প্রার্থী বাছাই, খরচ নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত বিষয় দেখবে। অথচ এগুলোই সাধারণত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের কাজ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন – সুনীল বনশল ও তাঁর টিম তাহলে কী করবে?
রাজ্যের একাংশ পুরোনো বিজেপি নেতাদের মতে, বাইরে থেকে পর্যবেক্ষক বা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের চাপিয়ে দিলে সংগঠনের ক্ষতি হয়। তাঁদের বক্তব্য – নির্বাচনের লড়াইয়ে স্থানীয় নেতৃত্বকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তাতে দলের ফল ভালো হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কি সেই বার্তা বুঝবেন, নাকি আবারও বাইরের নেতাদের হাতে লাগাম তুলে দেবেন – সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।
দেখুন আরও খবর: