ওয়েবডেস্ক: ‘নিকৃষ্ট তদন্ত (Poor Investigation) , শুনানিও ত্রুটিপূর্ণ।’ শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড খারিজ করে মুক্তির নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম অভিমত (Supeme Court)। উত্তরপ্রদেশে (Uttarpradesh) ১২ বর্ষীয়া নাবালিকার (Minor) ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দুই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড খারিজ করে বিচারপতি বিক্রম নাথ বিচারপতি সঞ্জয় কারল ও বিচারপতির সন্দীপ মেহতার অভিমত, সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণে পুলিশ ব্যর্থ। স্রেফ পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা খাড়া করা হয়েছে।
অথচ সেই তদন্ত অজস্র অসঙ্গতি, পদ্ধতিগত ত্রুটি এবং গুরুতর অনিয়মের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত। বস্তুত নিকৃষ্ট ও নিষ্প্রভ তদন্তের এ এক ক্লাসিক উদাহরণ। ঠিক তেমনি ত্রুটিপূর্ণ এই মামলার শুনানি প্রক্রিয়া। যার ফলে একটি নিরপরাধ বালিকার নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার মামলা চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
ডিএনএ রিপোর্টের (DNA Report) ভিত্তিতে তৈরি হলফনামাকে প্রমাণ হিসেবে দেখিয়ে শুনানি হয়েছে। অথচ সেই রিপোর্ট যিনি তৈরি করেছেন, সেই বিশেষজ্ঞকে এক্সামিন বা জেরাই করা হয়নি। যা অভিযোগ প্রমাণে গুরুত্বপূর্ণ ব্যর্থতা। অভিযুক্তদের রক্তের নমুনা সংগ্রহের নথি পেশ করাই হয়নি। ফলে সাপ্লিমেন্টারি ডিএনএ রিপোর্টের কোন মূল্যই নেই। তদন্তের সময়ে সংগৃহীত বস্তুগুলির ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্টে ঘটনাবলীর যোগসূত্র প্রমাণিত নয়।
আরও পড়ুন- বিচারককে বিচারপতি দ্বারা প্রভাবান্বিত করার অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ
যেখানে নাবালিকার দেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেই কৃষিক্ষেত্রের আশপাশের কোন বাসিন্দাকে জেরা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি তদন্তকারীরা। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরের যখন ঘটনা হয়, তখন সন্ধ্যা হয় সাধারণত সাতটা নাগাদ। ওই ঘটনা সন্ধ্যা সাতটা থেকে আটটার মধ্যে ঘটেছে। ফলে প্রতিবেশীদের বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানার অবকাশ ছিল। অথচ কোনও প্রতিবেশীকেই জেরা করা হয়নি। এমন ঘটনায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করা।
সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করা প্রয়োজন। যাতে অভিযুক্তদের অপরাধ প্রমাণে কোন ফাঁক না থাকে। কিন্তু এমন নিকৃষ্ট তদন্ত এবং তেমনি শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের মুক্তি প্রাপ্য। মন্তব্য আদালতের।
দেখুন আরও খবর-