কলকাতা: ট্যাংরা (Tangra Unnatural Death) কাণ্ডে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে ট্যাংরার দে পরিবারের দুই বউ ও নাবালিকা মেয়েকে। ময়নাতদন্তের (Post Mortem Report) প্রাথমিক রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট, তিন জনকেই খুন করা হয়েছে। হাত এবং গলা থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে দুই মহিলারই মৃত্যু হয়েছে। কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বিষক্রিয়ায়। কিন্তু নাবালিকার শরীরেও একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট, ময়নাতদন্ত শুরু ৩৬-৩৮ ঘণ্টা আগে আগে খুন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালের আগেই তাঁদের খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। রোমি দে-র দুই হাতের শিরা কাটা ছিল। গলায় ছিল একটি মাত্র কাটা ক্ষত। ধারালো কিছু দিয়ে তাঁর গলায় বাঁ দিক থেকে ডান দিকে এক বার আঘাত করা হয়েছে। যিনি খুন করেছেন, তিনি ডান হাতি। বাঁ দিক থেকে ডান দিকে ছুরি গভীরে টেনে দিয়েছেন। সুদেষ্ণা দে-র দুই হাতেও শিরা কাটা ছিল। গলায় ছিল একটি গভীর ক্ষত। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
বেআইনি নির্মাণ মামলায় এবার পুরসভাকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
নাবালিকা প্রিয়ম্বদা দে-র মৃত্যু হয়েছে খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরে। তার বুক, দুই পা, ঠোঁট এবং মাথার তালুতে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ওই কিশোরীর দুই হাত ও পা নীল হয়ে গিয়েছিল। পেটের ভিতর রক্তক্ষরণে হযেছে। কিশোরীর পেটে যে খাবার ছিল, তা পুরোপুরি হজম হয়নি। ওই খাবারে ছিল হলুদ এবং সাদাটে কিছু কণিকা, তাতে ওষুধের গন্ধ ছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুন করার পরই দুই ভাই ও নাবালক ছেলে ওই বাড়িতেই ছিল। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে রাত ১২.৫২ তাঁরা বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান। মৃত্যু নিশ্চিত করার পরই কি তাঁরা বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে বেরোন?
অন্য খবর দেখুন