কলকাতা: বিশ্ববাসী নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে। আনন্দের পরিবেশ, উৎসবের মেজাজ। বছরের প্রথম দিনে ছুটির মেজাজ। আনন্দে মাতোয়ারা বাংলা। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে (TMC Foundation Day) বিশেষ বার্তা দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ২৭ পেরিয়ে ২৮ বছরে পা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। আজকের দিনে অর্থাৎ ১ জানুয়ারি ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বিশেষ দিনটি স্মরণ করে বিশেষ বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নতুন বছরে উৎসবের আনন্দ, মা-মাটি-মানুষ নিয়ে বাংলা আছে ভাল।
২৪শের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। ২৯টি আসন জয়ী হয় তৃণমূল। যেটিকে মাইলস্টোন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন মমতা। রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচন। ঘর গোছাতে ব্যস্ত রাজ্যের শাসকদল। বছরের প্রথমদিন ও দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ভোট ময়দানে তৃণমূলের সাফল্যের কথা তুলে ধরলেন তৃণমূলনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি লিখলেন, মা মাটি আর মানুষ নিয়ে বাংলা আছে ভাল, তৃণমূলের হাতেই থাকুক নতুন দিনের আলো। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তৃণমূলের হাত ধরে রাজ্যে যেভাবে উন্নয়নের জোয়ার বইছে, আগামীদিনও তা বহাল থাকবে, এমনটাই বুঝিয়েছেন মমতা। তৃণমূলের সাফল্যের কথা তুলে ধরে বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলকে আশীর্বাদের জন্য ‘গণদেবতা’-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:আজ কল্পতরু উৎসব, দক্ষিণেশ্বর-কাশীপুর-বেলুড় মঠে ভক্তের ঢল
২৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করল রাজ্যের শাসক দল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার বাইপাসের কাছে তৃণমূল ভবনে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকসী। প্রতিষ্ঠা দিবসের উপলক্ষে এদিন তৃণমূল ভবনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যসভা সাংসদ দোলা সেন, দলের সহ সভাপতি জয় প্রকাশ মজুমদার, মণীশ গুপ্ত, বামফ্রন্ট আমলের প্রাক্তন মন্ত্রী বর্তমানে তৃণমূল নেতা মোর্ত্তজা হোসেন সহ একাধিক নেতৃত্ব। ২৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের উপলক্ষে শহীদ বেদীতে একেক করে মাল্যদান দান করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তৃণমূল নেতৃত্বে। অনুষ্ঠান শেষ বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতিক জীবনের পাশাপাশি তার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কর্মকাণ্ডের উপরে আলোকপাত করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকসী। তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি ১৯৯৩ সালে ১৪ জুলাই সচিত্র পত্র আন্দোলন শুরু করেছিলেন। ২১ জুলাইয়ের আন্দোলন যখন মহাকরণের ডাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে আন্দোলন সংঘঠিত হয়েছিল। তখন বামফ্রন্ট সরকার নির্বিচারে গুলি ও লাঠি চালিয়ে ছিল। যারা ফলে ১৩ জন শহীদ হয়েছিলেন। এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের দাড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জনবিরোধী নীতির প্রথম বিরোধিতা জানান। বাংলার কংগ্রেসের একটা বড় অংশ দিল্লির সঙ্গে মিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছিলেন। তার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম হয়।আজকে বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে সংসদীয় রীতিনীতি মেনে সরকার গঠন করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। প্রান্তিক মানুষের কাছে যাতে সরকারের ৭৩ টি প্রকল্পের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সহকর্মীদের বলব বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করে সরকারের প্রকল্প পৌঁছে দেবেন। সংঘবদ্ধ লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঁচে থাকবেন। তার প্রকল্প কে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকব বলে জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।
অন্য খবর দেখুন