ইলাহাবাদ: বর্তমান সময়ে মানুষের চিন্তা ভাবনা পালটেছে। বিয়ের (Marriage) থেকে বেশি বর্তমান প্রজন্ম এখন লিভ ইনে (Live In Relation)) ঝুঁকেছে। কিন্তু সেই সম্পর্কের শুরুর দিক সুন্দরভাবে হলেও পরের দিকে সম্পর্ক তার নিজস্ব ছন্দ হারাচ্ছে। সম্পর্কের উষ্ণতা কোথাও গিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে জন্ম নিচ্ছে ঝগড়া, বিবাদ অশান্তি, এমনকি অনেক সময় মর্মান্তিক পরিণতির ঘটনা সামনে আসছে।
এবার লিভ ইন সম্পর্ক নিয়ে হস্তক্ষেপ করল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, এখনও সমাজ খুব স্বাভাবিকভাবে লিভ ইন-এর সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় না। সমাজ একটি নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে চলে।
তাই সেই নৈতিকতা, মূল্যবোধ রক্ষার জন্য লিভ ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মবিধি থাকা উচিত। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল ইলাহাবাদ হাই কোর্টে। সেখানে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি নলিনকুমার শ্রীবাস্তব।
আরও পড়ুন: দাম্পত্যের ইতি! বিচ্ছেদের পথে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেহবাগ
আদালতের পর্যবেক্ষণ, লিভ ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনও পুরুষ বা মহিলা সহজেই তাঁর সঙ্গীর প্রতি দায় এড়িয়ে যেতে পারেন। সম্পর্কের দায়বদ্ধতা নেই, কোনও দায়িত্ব নিতে হয় না। নিজের স্বাধীনতা বজায় থাকে। ফলে এই ফাস্ট লাইফে দ্রুত এই ধরনের সম্পর্কের প্রতি আকর্ষিত হচ্ছে প্রজন্ম। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবার এই সম্পর্ককে একটি নিয়মের কাঠামোয় আনা, সমাধানসূত্র বের করার সময় এসেছে।
অভিযোগকারী তরুণীর দাবি, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছেন অভিযুক্ত। এমনকি গর্ভপাত করাতেও বাধ্য করা হয়েছে।
বারাণসীর সারনাথ থানায় তরুণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পরে মামলাটি হাই কোর্টে গেলে অভিযুক্তের আইনজীবী জানান, তরুণী মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। তাঁর মক্কেলের সঙ্গে প্রায় ছবছর ধরে লিভ ইন সম্পর্কে থাকতেন। অভিযোগকারী একজন প্রাপ্তবয়স্কা এবং উভয় পক্ষের সম্মতিতেই দু’জনের মধ্যে শারীরিক হয়েছে। তরুণীকে জোর করা হয়নি। গর্ভপাতের অভিযোগও মিথ্যা। আদালত আরও জানিয়েছে, বর্তমান সমাজ দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। পরিবর্তনশীল সমাজে বাস করছে মানুষ। সেই সমাজে তরুণ সমাজের চিন্তাধারায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। সেই চিন্তাধারা জীবনের মধ্যে ফুটে উঠছে। লিভ ইন সম্পর্ক করলেও এক সময় সম্পর্ক একটি বাঁধন চাইছে, আর সেখান থেকেই শুরু হচ্ছে বিপত্তি।