Tuesday, November 4, 2025
HomeScrollআজ ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশে ধ্বংসস্তূপে কিংবদন্তীর পৈতৃক বাড়ি
Ritwik Ghatak

আজ ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশে ধ্বংসস্তূপে কিংবদন্তীর পৈতৃক বাড়ি

ইউনুসের বাংলাদেশ কদর করল না এই বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালকের !

ওয়েবডেস্ক- ‘মেঘে ঢাকা তারা’ থেকে শুরু করে ‘সুবর্ণরেখা’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ একের পর কালজয়ী সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়ে গেছেন তিনি। রুপোলি জগতে এই কিংবদন্তি মানুষটির নাম ঋত্বিক ঘটক। যার কাহিনিতে ফুটে উঠেছে দারিদ্র, ভালোবাসা, দেশভাগের গল্প। সাধারণ মধ্যবিত্ত জীবনের গল্প তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন অসাধারণ দক্ষতায়।

আজ ঋত্বিক ঘটকের (Ritwik Ghatak) জন্মশতবার্ষিকী। আদ্যোপান্ত এই সাদামাটা একজন বাঙালির মননে চিরকাল গেঁথে থাকবে। কিন্তু আজ বাংলাদেশে (Bangladesh) রাজশাহীতে (Rajshahi) ঋত্বিক ঘটকের ভিটে ধ্বংসস্তূপে। গত বছর একদল দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যে বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালকের পৈতৃক বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

আজ ৪ নভেম্বর এই কিংবদন্তি মানুষটির জন্মদিন। ঋত্বিক ঘটক বলেছিলেন, “Cinema is not just entertainment, it’s a scream of a wounded civilization.”। এই দিনে ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবর্ষ পূর্ণ হল।

ঋত্বিক ঘটক এক স্পর্ধার নাম। নিমাই ঘোষের মাধ্যমে ঋত্বিক ঘটক চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। প্রথম সিনেমা ছিন্নমূল ১৯৫১ সালে মুক্তি পায়। তিনি এই সিনেমায় সহকারি পরিচালকসহ অভিনেতা হিসাবে কাজ করেন। এর দু’বছর পর তার একক পরিচালনায় মুক্তি পায় নাগরিক। ঋত্বিক ঘটকের কাছে ক্যামেরা ছিল সমাজের আয়না। যে আয়না দিয়ে তিনি মানুষের কান্না, ভালোবাসা, দারিদ্র, প্রতিবাদ ফুটিয়ে তুলেছিলেন। এই কী সেই বাংলাদেশ যে বাংলা, বাংলা ভাষার জন্য লড়াই করেছিল,ঝড়ে ছিল ২১ টি তাজা প্রাণ? সেই বাংলাদেশ কী সাহিত্য, সংস্কৃতির কদর করতে ভুলে গেছে। সংস্কৃতি মৃতপ্রায়।

আরও পড়ুন-  বিশ্ব উষ্ণায়ন! দু-সপ্তাহে শুকোবে ইরানের রাজধানী তেহরানের জল!

জন্মশতবার্ষিকীতে ইউনুসের বাংলাদেশে ঋত্বিক ঘটকের রাজশাহীর বাড়ি আজও ধ্বংসস্তূপ। গত বছর ভগ্নপ্রায় বাড়িটিতে ভাঙচুর চালায় একদল দুষ্কৃতী, জঙ্গী।

যাকে নিয়ে গর্বিত হওয়ার কথা বাঙালির, তাঁর শৈশব-যৌবনের আশ্রয়স্থল অবহেলার অন্ধকারে কাঁদছে।

রাজশাহীর মিয়াপাড়ার ঘোড়ামারা এলাকায় ঋত্বিকের পৈতৃক বাড়ি। এই বাড়ি আর ‘বাড়ি’ নেই এখন। কারণ ভগ্নপ্রায় অবস্থা। দুষ্কৃতীরা তাদের তাণ্ডবের নিদর্শণ ছড়িয়ে দিয়ে গেছে। এখন শুধু আছে কিছু ইটের স্তূপ আর অতীতের স্মৃতির ভগ্নাংশ।

১৯৪৭ সালে দেশভাগে সবচেয়ে বেশি ব্যথিত হয়েছিলেন প্রখ্যাত প্রোতিথযশা চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেতা ঋত্বিক কুমার ঘটক। তাঁর প্রতিটি সিনেমাতেই উঠে এসেছে দেশভাগের যন্ত্রণার কথা।

‘মেঘে ঢাকা তারা’ থেকে শুরু করে ‘সুবর্ণরেখা’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ আজও মানুষের মনে গেঁথে আছে।

১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর ঢাকা জন্ম হয় ঋত্বিক ঘটকের। সুরেশচন্দ্র ঘটক ছিলেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কবি ও নাট্যকার এবং মা ইন্দুবালা দেবী। লেখাপড়া ময়মনসিংহের মিশন স্কুল ও কলকাতার বালিগঞ্জ স্কুল। ঋত্বিক ঘটক রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহী কলেজে পড়েছেন।

১৯৪৭ সালের দেশভাগের ফলে তাঁর পরিবারকে কলকাতায় চলে আসতে হয়। জন্মভূমি হারানোর বেদনা  আজীবন তিনি বহন করে গেছেন। যা পরে প্রস্ফূটিত হয়েছে বাংলার সিনেমায়। ১৯৭০ সালে ভারত সরকার ঋত্বিক ঘটককে ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারে ভূষিত করে।

দীর্ঘ রোগভোগের পর ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ সালে মাত্র ৫১ বছর বয়সে প্রয়াত হন। তাঁর মৃত্যুতে এক অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়।

দেখুন আরও খবর-

 

Read More

Latest News