কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক বঞ্চনার প্রতিবাদের পথে নামল তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে শনিবার মৌলালি রামলীলা ময়দানের সামনে থেকে জমায়েত করে মিছিল করেন তৃণমূলের মহিলা বিগ্রেড। মহিলাদের উপরে নির্যাতনকারীদের চাই চরম দণ্ড, কেন্দ্রের উদাসীনতা বোঝায় এরা ভন্ড। এই স্লোগানকে সামনে রেখে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)ও দক্ষিণ কলকাতার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী চৈতালী চট্টোপাধ্যায়ের মিছিলে করেন। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিমের কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম, জুই বিশ্বাস, সহ কলকাতা পুর সংস্থার একাধিক কাউন্সিলর সহ মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কর্মীরা।
‘অপরাজিতা ওমেন চাইল্ড বিল’ ২০২৪ পেশ করেন তিনি বিধানসভায়। যদিও সেই বিলে এখনও স্বাক্ষর করেননি রাষ্ট্রপতি। তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের দাবি, বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত অপরাজিতা বিলকে অনুমোদন দিতে হবে। খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় বিশেষ আদালতে মামলা নিষ্পত্তি করে দ্রুত অপরাধীদের শাস্তির ক্ষেত্রে গতি আসবে বলে দাবি তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তার অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকার যদি এতই মহিলাদের সুরক্ষার প্রতি সহানুভূতিশীল হন। তাহলে কেন তারা রাষ্ট্রপতি কাছে অপরাজিতা বিলে সাক্ষর করার জন্য সুপারিশ করছে না। মুখে এক কথা কেন্দ্রীয় সরকারের, আর ব্যবহারে অন্য কথা বলছে বলে অভিযোগ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: আরজি করের তদন্ত করতে আরও ৯০ দিন সময় চাইল সিবিআই
তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দাবি ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং ভারতীয় সুরক্ষা সংহিতা কে পরিবর্তন করে অপরাজিতা বিলকে অনুমোদন দিতে হবে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাবি বাংলায় দেশ কে পথ দেখাবে। বাকিরা বাংলার আইন কে অনুসরণ করবে বলে জোর গলায় দাবি জানালেন তিনি। তিনি বলেন জানিনা রাজ্যপাল অপরাজিতা বিল রাষ্ট্রপতির কাছে সাক্ষাতের জন্য পাঠিয়েছেন নাকি। যদি পাঠিয়ে থাকেন ভালো। নাহলে কেন্দ্রীয় সরকার কে রাষ্ট্রপতি কাছে অপরাজিতা বিল কে সাক্ষর করানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কারণ বাংলা একমাত্র রাজ্য যারা সর্বপ্রথম এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নামে। এদিন দক্ষিণ কলকাতা জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল টালিগঞ্জের প্রিন্স আনোয়ার শাহ মোড় থেকে শুরু হয়ে টালিগঞ্জ ফাঁড়ি হয়ে রাস বিহারী মোড়ে শেষ হয়। যেখনে মহিলাদের উপরে নির্যাতনের প্রতিবাদে স্লোগানে মুখরিত হন দক্ষিণ কলকাতা জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা।
অন্য খবর দেখুন