কেরল: ওয়েনাড়ের (Wayanad) অবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Congress Priyanka Gandhi)। প্রিয়াঙ্কা তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ওয়েনাড়ের মানুষ এক ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যে দিয়ে গেছে। তারা আবার পুনরায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। ওয়েনাড়ের অবস্থা বুঝুন।
স্থানীয়দের মূল স্রোতে ফিরে যাওয়ার জন্য ত্রাণের প্রয়োজন। তারা সব ধরনের সাহায্য ও সমর্থনের যোগ্য। সোমবার লেখা এই চিঠিতে ওয়ানাড়ের কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে সাহায্যের আবেদন জানান।
“I believe that the people of Wayanad deserve every possible assistance and support to pull themselves out of the terrible misfortune that has befallen them.
I urge you to consider their plight with compassion. It is my earnest request to you to convert the relief package into a… pic.twitter.com/nQ8NLUusez
— Congress (@INCIndia) February 24, 2025
প্রিয়াঙ্কার চিঠির বয়ান অনুযায়ী, ‘তাদের দুর্দশার কথা সমবেদনার সঙ্গে বিবেচনা করার অনুরোধ করছি। আমার আন্তরিক অনুরোধ ত্রাণ প্যাকেজটিকে অনুদানে বাস্তবায়ন করে, সেটির সময়কাল বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি। এই আর্থিক সাহায্য তাদের নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সাহস জোগাবে।‘
আরও পড়ুন: দিল্লি বিধানসভার প্রথম অধিবেশন শুরু নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণের মাধ্যমে
প্রিয়াঙ্কা বলেন, এটা খুব স্পষ্ট যে, ওয়ানাড়ের মানুষের আর্থিক সাহায্য এই মুহূর্তে খুব প্রয়োজন। রাজ্য ও কেন্দ্র একযোগে তাদের পাশে না দাঁড়ালে ওয়েনাড়ের মানুষের ঘুরে দাঁড়ানো খুব মুশকিল।
প্রিয়াঙ্কার চিঠিতে উল্লেখ করেন, পুনর্বাসন খুব ধীরগতিতে এগোচ্ছে। যা অন্যন্ত বেদনাদায়ক। এটি শুধু তাদের চাপ বাড়াইনি, তাদের ভবিষ্যত পর্যন্ত অনিশ্চিত করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, কেরলের সাংসদের লাগাতার চাপের মুখে কেন্দ্র সরকার ৫২৯.৫০ কোটি টাকা ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করেন। তাও দুটি শর্তে তাদের জন্য এই প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।
প্রথমটি হচ্ছে, প্রথমত তহবিলটি বিতরণ করা হবে, ঋণ হিসেবে, অনুদান নয়। আর দ্বিতীয় শর্তটি হল ৩১ মার্চ ২০২৫ এর মধ্যে সম্পূর্ণ টাকা ব্যয় করতে হবে।
কংগ্রেস সাংসদ বলেন, এই শর্তগুলি শুধুমাত্র অন্যায্যই নয়। এই শর্তগুলি চুরমালা ও মুন্ডাক্কাইয়ের মানুষের প্রতি অমানবিক আচরণ।
উল্লেখ্য, গতবছরের আগস্টের দিকে ভূমিধসে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় কেরলের ওয়েনাড়। প্রায় তিনশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। করুণ পরিস্থিতি তৈরি হয় ওয়েনাড়ের চুরমালা, মুন্ডাক্কি, মেপ্পাডি এলাকায়। এখনও নিজস্ব ছন্দে ফিরতে পারেনি ওয়েনাড়।
দেখুন অন্য খবর: