কলকাতা: ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে (JharKhali Tiger Rehabilitation Centre) প্রয়াত হল কিংবদন্তি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger) সোহান। প্রায় ২১ বছর বয়স হয়েছিল তার। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিল সোহান। শনিবার দুপুরে হঠাৎ করেই তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই বাঘটির নাম রেখেছিলেন সোহান। বন দফতর (Forest Department) জানিয়েছে, মৃত্যুর আগে কয়েকদিন ধরে কিছুই খাচ্ছিল না সে, তরল খাবার দেওয়া হলেও শরীর ক্রমশ ভেঙে পড়ছিল।
২০০৯ সালে সাতজেলিয়ার (Sajnekhali) লোকালয়ে বারবার ঢুকে পড়ছিল সোহান। সেই সময় বন দফতরের কর্মীরা তাকে খাঁচা পেতে ধরে প্রথমে আলিপুর চিড়িয়াখানায় (Alipore Zoo) নিয়ে যান। পরে ঝড়খালির ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র ছিল সোহান ও তার সঙ্গী সোহানি (Sohani)। ২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী ঝড়খালি পুনর্বাসন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন এবং সোহান-সোহানির নামকরণ করেন। কিছুদিন আগেই বার্ধক্যজনিত কারণে সোহানির মৃত্যু হয়, তারপর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সোহানও।
আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কতা, কলকাতায় আজ উষ্ণতম দিন
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে সোহান বাঁ-চোখে ছানির কারণে দেখতে পেত না। বেশ কয়েকদিন ধরে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ হচ্ছিল। শেষ মুহূর্তে বাঁচানোর সমস্ত চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন পশু চিকিৎসকরা । মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে বন দফতরের নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
রাজ্যের বন্যপ্রাণ শাখার অধিকর্তা নীলাঞ্জন মল্লিক জানিয়েছেন, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। তবে সোহানের বয়স অনেকটাই হয়েছিল, প্রায় ২২ বছর। শেষের দিকে সে ঠিকমতো খেতে পারছিল না, চোখেও ভালো দেখছিল না। বয়সজনিত কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।”
সোহানের মৃত্যুতে বন দফতরের কর্মীদের পাশাপাশি পর্যটকরাও শোকস্তব্ধ। ঝড়খালিতে গিয়ে বহু পর্যটকই এই কিংবদন্তি বাঘটিকে ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন। তার মৃত্যুতে রাজ্যের বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প ও বন দফতরের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেখুন আরও খবর: