ওয়েব ডেস্ক: জুবিন গর্গ (Zubeen Garg) মৃত্যুর তদন্তে নয়া মোড়। জুবিনের মৃত্যুর (Zubeen Garg Death Case) তদন্তে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে চার জনকে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও এক নাম। গায়ের মৃত্যুর ঘটনায় এবার গ্রেফতার অসম পুলিশের আধিকারিক। জুবিন গর্গ মৃত্যু রহস্যে ক্রমশই বাড়ছে গ্রেফতারের সংখ্যা । অসম পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের হাতে গ্রেফতার আসাম পুলিশের আধিকারিক সন্দীপন গর্গ। সূত্রের খবর সিঙ্গাপুরে জুবিন গর্গের সঙ্গে ছিলেন এই সন্দীপন গর্গ। জুবিন গর্গের মৃত্যুর তদন্তে সিটের হাতে গ্রেফতার এখনও পর্যন্ত পাঁচজন।
সিঙ্গাপুরে সমুদ্রে স্কুবা ডাইভিং করার সময় তাঁর মৃত্যু হয়। প্রথমে দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু বলা হলেও, পরে এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসে। এর পাশাপাশি, জুবিকের ব্যান্ড সদস্যদের কেউ কেউ দাবি করেন, গায়ককে ষড়যন্ত্র করেই খুন করা হয়েছে। ব্যান্ডের এক সদস্য অভিযোগ করেছেন, জুবিনকে ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা এবং উৎসবের আয়োজক শ্যামকানু মহন্ত বিষ প্রয়োগ করেছেন। এই ঘটনার তদন্ত করছে নয় সদস্যের একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) । জুবিনের মৃত্যু ঘটনায় এবার সামনে এল আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বুধবার অসম পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের হাতে গ্রেফতার হয় আসাম পুলিশের আধিকারিক সন্দীপন গর্গ। সূত্রের খবর, সন্দীপন গর্গ সম্পর্কে জুবিনের তুতো-ভাই। সিঙ্গাপুরে যখন গায়ক জলে ডুবে মারা যান, সেই সময় নাকি তাঁর সঙ্গে ছিলেন এই তুতো ভাই সন্দীপন। সেই কারণে অসম গোয়েন্দা বিভাগ তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে। এই মুহূর্তে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
আরও পড়ুন: আর্থিক তছরুপ মামলায় শিল্পা শেঠিকে চার ঘণ্টা জেরা
ইতিমধ্যেই গর্গের ব্যান্ড মেটদের সঙ্গে কথা বলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তবে এবার উঠে এল নতুন তথ্য। অসম পুলিশ প্রয়াত গায়কের দুই ব্যক্তিগত নিরাপত্তা আধিকারিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় এক কোটি টাকা আর্থিক লেনদেন খুঁজে পেয়েছে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (এসআইটি)। এই বিপুল পরিমাণ অর্থের লেনদেন, যা গত চার-পাঁচ বছরে হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে জুবিনের মৃত্যুর সঙ্গে এর কোনও যোগসূত্র আছে কিনা। এই টাকা জমা পড়ার বিষয়টি রহস্যজনকই মনে করছেন গোয়েন্দারা। এমনটাই খবর সূত্রের। প্রকাশিত টাইমস নাউ-এর একটি প্রতিবেদনে।
যদিও কিছু সূত্রে খবর, জুবিন গর্গ এই অর্থ তাঁর সহযোগীদের কাছে রেখেছিলেন গরিব বা অভাবী মানুষদের সাহায্য করার জন্য, এবং নেট ব্যাঙ্কিং-এর মাধ্যমে সেই টাকা বিতরণ করা হত। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই মামলার আর্থিক দিকটি গভীরভাবে খতিয়ে দেখার জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং আয়কর দফতরকে অনুরোধ করেছেন।
অন্য খবর দেখুন