কলকাতা: উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে উত্তরকন্যা থেকে এসআইআর নিয়ে সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। SIR নিয়ে সুর চড়িয়ে এবার স্থগিতের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। উত্তরের প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকেই কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনকে কঠোর ভাষায় আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বললেন, “নোটবন্দির মতো এসআইআরও গায়ের জোরে পগার পার করবে ভাবছে। কিন্তু পগার পার ওদের হতে হবে। বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না।” নির্বাচন কমিশনের সিইও-র উদ্দেশে মন্তব্য— “হ্যালো স্যার, ক্যান ইউ হিয়ার মি?” “আমার মনে হয় এসআইআর স্টে করা উচিত। কোটি কোটি মানুষ এখনও ফর্মই পায়নি।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘SIR-র স্থগিত করা উচিত। SIR-এর নামে ঘুরিয়ে সুপার এমার্জেন্সি করেছেন। নির্বাচন কমিশন সব ফর্ম দেয়নি। ফেব্রুয়ারিতে ভোট ঘোষণা হলে কীভাবে SIR হবে?সরকার ৩ মাস যাতে কাজ করতে না পারে, তার জন্য সুপার এমার্জেন্সি। নিজেদের কাজ সামলে ২ ঘণ্টায় কতজনের বাড়িতে যাবেন BLO-রা। অনেক ফর্ম এসেই পড়েনি, বিজেপির পার্টি অফিসে রেখে দিয়েছে’। মমতা কটাক্ষের সুরে বলেন, আপনারা যত আঘাত করবেন, তত প্রত্যাঘাত করব। ১৪ জন যে মারা গেল, কমিশনের থেকে কোনও বার্তা আছে? অসমের এসআইআর নিয়ে এদিন ফের প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি বলেন, অসমে কেন SIR হচ্ছে না, হলেই তো হারবে। বিহারেও বলছে অনুপ্রবেশকারী, কোথা থেকে অনুপ্রবেশকারী এল? কোথা থেকে এল রোহিঙ্গা? আমরা তো জানি না। ১৯৭১-এর মার্চ পর্যন্ত যারা এসেছে তাঁরা ভারতের নাগরিক। কয়েকদিন আগে বললেন ২০২৪ সালে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা থাকতে পারবেন। এদের ভোটার তালিকায় নাম তোলা হচ্ছে কিনা আমার সন্দেহ আছে। এসব বঞ্চনা, ছলনা, প্রতারণা মানব না’।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর, কী বললেন শুনুন
SIR-আবহে এক বিএলও-এর মৃত্যু নিয়েও সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছি এক জন বিএলও মারা গিয়েছেন। আইসিডিএস, আশা কর্মীদের কাজে লাগান। শিক্ষকদের চাকরিও খেয়ে নিল, আর আমাদের দোষ দিচ্ছে। কেন্দ্রকে বিঁধে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। মানুষের হৃদয় কাঁদছে, আর বিজেপি হাসছে। কিন্তু জেনুইন ভোটারের নাম বাদ গেলে ছেড়ে কথা বলব না। যত আঘাত করবে, তত প্রত্যাঘাত হবেই।”
তৃতীয় বারের জন্যে উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee Visit North Bengal)। খতিয়ে দেখলেন সেখানকার দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গের ৮টি জেলায় ৩ হাজার ৪৯১টি পাট্টা বিতরণ করা হল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির জন্য সব জেলা মিলিয়ে ১৪ হাজার ৭৯৪টি পরিবারকে মোচ ১৬১ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা দিচ্ছি। এটা ওরা সরাসরি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পেয়ে যাবে। বন্যা কবলিত ১ লক্ষ ৩৭ হাজার কৃষকদের মধ্যে ফসলের বীজ, কৃষি উপকরণও বিতরণ করা হল। এর জন্য ১০ কোটি টাকা খরচ। কৃষি জমি পুনরায় চাষযোগ্য করার জন্য জলপাইগুড়ি, দার্জিলং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের ৮০৭ জন কৃষককে আর্থিক সহায়তা করা হল। খরচ ৪৭ লক্ষ টাকা।
দেখুন ভিডিও







