Tuesday, September 16, 2025
বাঙালি কাউন্টডাউন
HomeScrollথানার বন্ধ সিসি ক্যামেরা রোগ সারাতে সম্ভাব্য সুপ্রিম দাওয়াই
Supreme Court

থানার বন্ধ সিসি ক্যামেরা রোগ সারাতে সম্ভাব্য সুপ্রিম দাওয়াই

সমস্যা দূর করতে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় কন্ট্রোল রুম স্থাপনের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

ওয়েব ডেস্ক: থানায় (Police Station) সিসিটিভি ক্যামেরা (CCTV Camera) বন্ধ করে রাখা, খারাপ হলে তা মেরামত না করা এবং রেকর্ডিং মুছে দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে উঠছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এই সমস্যা দূর করতে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় কন্ট্রোল রুম (Automated Control Room) স্থাপনের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, হস্তক্ষেপ ছাড়া যাতে ক্যামেরা বন্ধ হওয়া, রেকর্ডিং মুছে যাওয়া বা অন্য কোনো ত্রুটি শনাক্ত করা যায়, তার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র গড়ে তোলা জরুরি।

আদালতের মতে, থানায় ক্যামেরা বন্ধ রাখা বা রেকর্ডিং মুছে ফেলা পুলিশের কিছু অংশের মধ্যে প্রচলিত প্রবণতা। এই রোগ সারাতে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তিই একমাত্র পথ। এজন্য ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির মতো স্বাধীন প্রযুক্তি সংস্থাকে যুক্ত করে এমন ব্যবস্থা করতে হবে যাতে কোথাও কোনও ক্যামেরা বন্ধ হলেই কন্ট্রোল রুমে সঙ্গে সঙ্গে সিগন্যাল পৌঁছে যায়। এছাড়া নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে নিয়মিত পরিদর্শন চালানো জরুরি বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন: বনতারা প্রকল্পে সুপ্রিম কোর্টের ক্লিনচিট, বিরাট স্বস্তিতে আম্বানিরা

এদিনের শুনানিতে আদালত উল্লেখ করেছে, গত সাত-আট মাসে ১১ জন হেফাজতে বন্দীর মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। এই প্রেক্ষাপটে মামলাটি সুপ্রিম কোর্ট নিজে থেকে গ্রহণ করে শুনানি করছে। বিচারপতিরা মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, ২০২০ সালে পরমবীর সিং সাইনি বনাম জিৎ সিং ও অন্যান্যদের মামলায় আদালত দেশের প্রতিটি থানায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, প্রতিটি ক্যামেরায় নাইট ভিশনের সুবিধা থাকতে হবে। পাশাপাশি সিবিআই, এনআইএ, ইডি, নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো, ডিপার্টমেন্ট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স, সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসে জেরা চলাকালীন সময়েও ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।

তবে পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও বহু রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলি ওই নির্দেশ যথাযথভাবে কার্যকর করেনি বলে আদালতের কাছে অভিযোগ পেশ করা হয়েছে। মামলার রায় আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করার কথা। আদালত জানিয়েছে, এই প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থা কার্যকর হলে হেফাজতে নির্যাতন বা অনিয়মের মতো ঘটনায় দ্রুত নজরদারি করা সম্ভব হবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্বচ্ছতা বাড়বে।

দেখুন আরও খবর:

Read More

Latest News