কলকাতা: প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হল সোমবার (SSC Recruitment Scam)। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, শুধু টাকার আদানপ্রদানই নয়, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সিস্টেমেটিক ফ্রড হয়েছে।
তিনি জানান, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬-র নোটিসে ৪২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু মেরিট লিস্ট, প্যানেল বা স্কোরকার্ড প্রকাশ করা হয়নি। কিছু প্রার্থীকে প্যানেলে না থাকলেও ডাকা হয়েছে। তাছাড়া বিধায়ক ও সাংসদদের নাম জড়িত থাকার অভিযোগও ওঠে।
আরও পড়ুন: বিকাশ ভবন অভিযানে পশ্চিমবঙ্গ, কলেজ অস্থায়ী শিক্ষাকর্মী মঞ্চ
ভট্টাচার্যের আরও দাবি, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ফলাফল প্রকাশের পরও কাউকে মেরিট লিস্ট বা স্কোরকার্ড দেওয়া হয়নি।
* ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬-র নোটিশে ৪২ হাজার শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও প্রকাশ্যে কোনও প্যানেল বা মেরিট লিস্ট আনা হয়নি।
* রাজনীতিকদের নাম জড়িয়েছে টাকা নেওয়ার অভিযোগে। বিধায়ক-সাংসদদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির আঙুল উঠেছে।
*“এটা সিস্টেমেটিক ফ্রড। প্যানেলে না থেকেও অনেককে ডাকা হয়েছে। একজনও মেরিট জাম্পিং থাকলে তা প্রকাশ করা উচিত।”
বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী শুনানির সময় প্রশ্ন তোলেন, “২০১৬ সালের নিয়োগ নিয়ে যদি প্রশ্ন থাকে, সেই বিষয়টি কোথায় উল্লেখ করা হয়েছে?” ভট্টাচার্যের বক্তব্য, বোর্ড নিজস্ব নিয়মও মানেনি। ডিপিএসসির বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। সিবিআই তদন্ত ও চার্জশিটের প্রসঙ্গ টেনে তাঁর দাবি— দুর্নীতি সমাজের *“ক্যান্সার”*; সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে ধ্বংস ডেকে আনবে।
ভট্টাচার্য আরও বলেন, ডিপিএসসি ও বোর্ড সিলেকশন কমিটি গঠন করা হয়নি। নিয়োগের সময় রুল ও নিয়ম ঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়নি। সিবিআই ইতিমধ্যেই চার্জশিট ফাইল করেছে। তিনি বলেন, “দুর্নীতি ক্যান্সারের মতো। সময়মতো ধরা না পড়লে এর প্রভাব অর্থনীতি ও সমাজে বিস্তৃত হবে।” পরবর্তী শুনানি হবে ২৯ অক্টোবর।
দেখুন আরও খবর: