ওয়েব ডেস্ক : বড় সাফল্য নিরাপত্তাবাহিনীর। ঝাড়খণ্ডে খতম হল তিন মাওবাদী (Maoist ) নেতা। এই মাওবাদীরা জেজেএমপি-র সদস্য বলে জানা গিয়েছে। নিহত মাওবাদীদের পাশ থেকে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানা খবর।
সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) গুমলা জেলার কাচকি গ্রামে মাওবাদীরা (Maoist) লুকিয়ে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এর পর তল্লাশি অভিযানে নামে নিরাপত্তা রক্ষীরা। কিন্তু, তল্লাশি চালানোর সময় নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। তবে পাল্টা গুলি চালায় নিরপত্তারক্ষীরাও। সেই গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় তিন মাওবাদী নেতার। ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে একাধিক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে নিরাপত্তা বাহিনী।
আরও খবর : নবম শ্রেণীতে বালকের ভর্তি আটকানোর চেষ্টায় ক্ষুব্ধ আদালত!
২০২৬ সালের মধ্যে মাওবাদী মুক্ত হবে ভারত। গত মার্চে এমনই বার্তা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit shah)। তার পরে মাওবিরোধী অভিযানে গতি আসে। ছত্তিশগড় (Chattishgarh), ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মতো মাওবাদী এলাকায় জোর তল্লাশি শুরু হয়। এমনকি ছত্তিশগড় তেলেঙ্গানা সীমান্তবর্তী কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকায় ৩ হাজার আধা সেনা নামানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সেই অভিযানে এখনও পর্যন্ত বহু মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।
পাশাপাশি ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানায় ২০ হাজারের বেশি যৌথবাহিনীকে নামানো হয়েছে। সেই অভিযানে মাওবাদীদের সাধারণ সম্পাদক বাসবরাজুকে খতম করেছে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। এমনকি মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুধাকরও খতম হয়েছে নিরপত্তারক্ষী বহিনীর গুলিতে।
দেখুন অন্য খবর :