ওয়েবডেস্ক- মন্দিরের বিগ্রহ থেকে সোনা চুরির বিতর্কের মধ্যেই দুদিনের কেরল সফরে (Kerala Visit) শবরীমালা (Sabarimala Temple) পরিদর্শন করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু (President Droupadi Murmu) । আগামী ২২ অক্টোবর দুদিনের সফরে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি। সেই সময় তিরুবনন্তপুরম এবং কোট্টায়াম অঞ্চলে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন তিনি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ২২ অক্টোবর, থুলমাসা পুজোর সমাপনী দিনে শবরীমালা মন্দির পরিদর্শন করবেন।
মন্দির পরিচালনাকারী ত্রাভাঙ্কোর দেবস্বম বোর্ড (টিডিবি) জানিয়েছে, প্রার্থনার জন্য ১৭ অক্টোবর শবরীমালার ফটক থুলসামা পুজোর জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। শ্রী চিত্রিরা আত্তাথিরুন্নালের জন্য দরজাগুলি ২২ অক্টোবর বন্ধ হওয়ার কথা রয়েছে এবং নভেম্বরে পুনরায় খুলে দেওয়া হবে।
এর আগে, শবরীমালার দ্বারপালকা মূর্তিতে রাখা সোনার প্রলেপযুক্ত তামার প্লেট চুরির অভিযোগের মধ্যে, ত্রাভাঙ্কোর দেবস্বম বোর্ড (টিডিবি) ভিজিল্যান্স টানা দ্বিতীয় দিনের জন্য শবরীমালা আয়াপ্পা মন্দিরের প্রাক্তন সহকারি এবং সোনার প্রলেপ কাজের পৃষ্ঠপোষক উন্নিকৃষ্ণন পট্টির বয়ান রেকর্ড করেছে। তিরুবনন্তপুরমের সদর দফতরে ত্রাভাঙ্কোর দেবস্বম বোর্ড (টিডিবি) ভিজিল্যান্স প্রায় টানা তিনঘণ্টা ধরে উন্নিকৃষ্ণন পট্টিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এর পরে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই চলে যান। তবে সেই সময় পট্টি বলেন, একজন ব্যক্তি হিসেবে আমার কি স্বাধীনতা নেই? হাইকোর্টের সামনে সব কিছু প্রমাণিত হবে। আমার কি স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার অধিকার নেই? সত্যের জয় হবেই’।
আরও পড়ুন- ভুটানে বাঁধ উপচে পড়েছে, বাংলায় বন্যার সতর্কতা
২০১৯ সালে শবরীমালা মন্দিরের মূর্তিগুলির উপর সোনার প্রলেপযুক্ত তামার প্লেট মেরামত এবং নতুন করে সোনার প্রলেপ দেওয়ার জন্য সেগুলি সরানো হয়। ঘটনার পরে প্রায় একমাস পরে প্লেটগুলিকে চেন্নাইয়ের ‘স্মার্ট ক্রিয়েশন’-এ (গোল্ড প্ল্যাটিংয়ের জন্য খ্যাত সংস্থা) নিয়ে যাওয়া হয়। কোম্পানিকে প্লেটগুলি দেওয়ার সময়ে ওজন ছিল মোট ৪২.৮ কেজি। পরে সেটা কমে দাঁড়ায় ৩৮.২৫ কেজি। কীভাবে এতটা ওজন কমল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
কেরালা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা বিজয়রাঘবন ভি এবং কেভি জয়কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সোনার প্লেটগুলিতে কমপক্ষে ৪.৫৪ কেজি ঘাটতি রয়েছে। সেটি কিভাবে হল, তার জন্য তদন্তের প্রয়োজন।
দেখুন আরও খবর-