Friday, November 7, 2025
HomeScrollFourth Pillar | ভোটার লিস্ট এ নাম কাটা গেলে কতদিন নাগরিক থাকবেন...
Fourth Pillar

Fourth Pillar | ভোটার লিস্ট এ নাম কাটা গেলে কতদিন নাগরিক থাকবেন আপনি?

শিক্ষায় বরাদ্দ সেই জায়গায় করা যাবে যেখানে শিক্ষার প্রসার কম

এ এক আজব সরকার, পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশের মানুষেরা দেশের সরকারকে নির্বাচিত করে, আমার দেশের সরকার দেশের ভোটার কারা হবে সেটা ঠিক করে দেবার কাজ করছে। মানে তাই ঠিক করে দেবে ভোটার লিস্টে কারা থাকবে, কারা থাকবে না, আর এই কাজটা আজ নয় বহুদিন আগে থেকেই শুরু করেছে বিজেপি। এর শুরুয়াত সেই সিএএ বিল থেকে। নাগরিকত্ব বিল। সেই বিল কী বলছে? নাগরিকত্ব আইন কী বলছে, নাগরিকত্ব আইন আমরা কেন মানতে চাইছি না, নাগরিকত্ব আইন কেন? খুব সোজা করে বললে এই আইন দিয়ে কিছু ধর্মীয় কারণে নিপিড়িত মানুষ কে নাগরিকত্ব দেবার কথা বলা হয়েছে, এটাও খুব পরিস্কার যে মুসলমানদের, সংখ্যালঘু মানুষজনকে এই আইনের বাইরে রাখা হয়েছে।

তিনটে দেশ, বলা ভাল ইসলামিক দেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে যদি সে দেশ থেকে হিন্দু শিখ পারসি, জৈন, বৌদ্ধ বা ক্রিস্টান রা আসে তাহলে তারা ৬ বছর এখানে থাকলেই এই দেশের নাগরিক হয়ে যাবে। আগে ১২ বছর লাগতো এখন ৬ বছর লাগবে হিন্দু রা পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে এ দেশে আসতে চাইলে বা তাদের আসা সহজ করার জন্য এই আইন করা হয়েছে।  তাকে কেবল বলতে হবে তিনি ধর্মীয় ক্ষেত্রে নিপীড়িত হয়েছেন। তো আমাদের আপত্তি টা কোথায়? এই বিল নিয়ে সমস্যাটা কোথায়? প্রতিবার একজন হিন্দু বলবেন আমায় অত্যাচার করা হয়েছে, আমার পুজোরবেদী ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং প্রতিবার আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশ, পাকিস্তানের এই নিয়ে বিরোধ হবে, তারা বলবেন এরকম হয়নি, আসলে এরকম হয়েছে। তার দেশে তদন্ত বলবে লোকটি মিথ্যে কথা বলছে, আমাদের দেশ বলবে লোকটি ঠিক কথা বলছে। এমনিতেই সদ্ভাব রাখা যাচ্ছে না, এবার প্রতিদিন টানাপোড়েন হবে। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে আমাদের এখানে সংখ্যালঘুদের ওপর, ওদেশে পড়বে তাদের সংখ্যা লঘু দের ওপর। পড়বেই। এই খানে আমাদের আপত্তি আছে, হ্যাঁ আপত্তি। ভারতবর্ষ কখনও কোনওদিন ধর্মীয় ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেয় নি। এটা আমাদের প্রথম আপত্তি। আমরা আসলে ধর্মের ভিত্তিতে কিছুই দেবার কথা কখনও বলিনি। না শিক্ষা নয়, বরং যে শিক্ষা কেবল উচ্চবর্ণের ব্রাম্ভণ দের হাতে ছিল তাও এখন ছড়িয়ে গেছে সবখানে, স্বাস্থ বাসস্থান কিছুই আমরা কোনওদিন ধর্মের ভিত্তিতে দিইই নি। পাকিস্তান ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিল, ভারত ছিল সব ধর্মের দেশ, আমরা গর্বিত নাগরিক ছিলাম।

ভারত হিন্দু রাষ্ট্র তৈরি করতে চায়নি। তাই আমরা ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, এটা আমরা মানছি না। ১ নম্বর বিরোধিতার যায়গা। এবার দু নম্বর বিরোধিতায় আসি। কেন কেবল বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান? কেন?  মায়নামার বা শ্রীলঙ্কা থেকে নয় কেন? কেন আমরা এটা জানাতে চাই যে কেবল ইসলামিক রাষ্ট্র থেকেই নিপীড়িত মানুষদের আমরা নাগরিকত্ব দিতে চাই, এটা আমাদের মাথায় ঢুকছে না। আর একটা বড় যুক্তি যা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে বলা হচ্ছে যে এন আর সি আর সি এ এ দুটো আলাদা বিষয়, আমরা নাকি দুটোকে একসংগে টেনে এনে ব্যাপার টা কে গুলিয়ে দিচ্ছি। তাই নাকি? রাস্তায় নয়, সংসদে দাঁড়িয়ে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী পরিস্কার বলছেন ক্রোনলজি টা বুঝুন। প্রথমে  সিএএ আসবে তারপর এন আর সি আসবে। এবং সারা দেশে এন আর সি হবে। অমিত শাহ বলেছেন। তার মানে প্রথমে সি এ এ আসবে। আফগানিস্থান পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে মুসল্মান বাদে যারা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে আসবেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তারপর এনআরসি আসবে যেখানে ১৩০ কোটি ভারতবাসীকে প্রমাণ করতে হবে যে তারা নাগরিক। আহা কী আইন। বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তান থেকে মানুষ আসবেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে আর দেশের মানুষকে প্রমাণ করতে হবে যে তারা নাগরিক। কেন? আমাকে প্রমাণ করতে হবে যে আমি নাগরিক তারপর আমার নাম খাতায় উঠবে। তারা আগেই বিদেশীরা নাগরিক হয়ে গিয়েছে। কেন আমি প্রমাণ করতে যাবো যে আমি নাগরিক? আমার ভোটে নির্বাচিত সরকার আমিই নাগরিক কিনা প্রমাণ করতে বলছে এবং বলছে যে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এসব নাকি নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। তাহলে কার ভোটে আপনারা সরকার তৈরি করেছেন? কারা আপনারা? এবং এই সরকারের কর্মদক্ষতা নিয়ে আমাদের সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে। ডিমনিটাইজেসন নিয়ে আপনাদের কাজকর্ম তো এখন সবার জানা। পুরোদেশ কে লাইনে দাঁড় করিয়ে, প্রচুর টাকা নষ্ট করে আস্ত ঘোড়ার ডিম প্রসব করা হয়েছে, আমরা জানি, আপনারাও জানেন। একবার তথ্যর দিকে চোখ ফেরানো যাক। প্রথম বার যখন অসমে এনআরসি লাগু করা হল তখন এই রেজিস্টারের বাইরে থেকে গেল ৪৩ লক্ষের বেশি মানুষ। ৪০ লক্ষ অনুপ্রবেশকারী। কোর্ট বলল কী হচ্ছে কি? আবার দেখুন। ৪৩ লক্ষ? সরকার বলল হুজুর দেখছি সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১৯ লক্ষে। ৪০ থেকে ৩৯ নয় ৩৮ নয় ১৯? অর্ধেকের কম। এটা হচ্ছে সরকারের প্রথম এন আর সি। একবার ভাবুন ওই মানুষ দের কথা যারা ৪৩ লক্ষের লিস্ট এ ছিলেন! তাদের কে যদি ডিটেনসন ক্যাম্প এ পুরে দেওয়া হত? একটা অপদার্থ প্রশাসন নিয়ে এরকম একটা কাজ করা যায়? এক আসামেই যদি এটা হয় সারা দেশ এ কী হবে? সরকার জানে না যে এরকম একটা কাজ করার মত পরিকাঠামো আমাদের নেই। নেই। একবার ভোটার কার্ড এর দিকে তাকান। সেই কবে লাগু হয়েছে। কার্ডে নাম ভুল, বানান ভুল, ঠিকানা ভুল, বাবা মা র নাম ভুল, পুরুষ কে স্ত্রী, স্ত্রী কে পুরুষ তো অহরহ দেখতে পাবেন। শের সিং লিঙ্গ মহিলা, তনিমা বিবি পুং। দেখেন নি? আগে একটা পরিকাঠামো ঠিক হোক। ১৪০ কোটি তে ৩% standard error  মানে প্রায় ৪ কোটি মানুষ। টেকনিকাল ভুলের খাতিরে তারা ডিটেনশন ক্যাম্প এ থাকবে? এর পরেও কি মনে হচ্ছে যে আমরা বিষয় টা ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না?তাই জন্য আমরা বলছিলাম এই আইন কালা আইন এই আইন ফেরত নেওয়া হোক। গায়ের জোরে পাস করানো হয়েছে সেই আইন, কিন্তু তাকে দেশজুড়ে লাগু করা যায় নি। তাই এরপরে তাঁরা এক নতুন কায়দায় একই কাজ করতে নামলেন। সেটাও আরও পরিস্কার। এনপিআর। এমনিতে ভারী নিরীহ এক ব্যাপার, দেশের মানুষজন কে কোথায় আছেন তার এক তালিকা, National Population Register, তাতে করে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প তৈরিতে সাহায্য হবে।

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | বিহারের নির্বাচনে কী হতে চলেছে? পার্ট টু

ধরুন দেখা গেল শিক্ষায় বরাদ্দ সেই জায়গায় করা যাবে যেখানে শিক্ষার প্রসার কম বা ধরুন জানা গ্যালো কোনখানে এখন ও বিদ্যুৎ পৌঁছায় নি। এন আর সি হবে বলার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশের প্রতিক্রিয়া দেখে প্রধানমন্ত্রী ব্যাকফুটে যাবার সঙ্গে সঙ্গে অমিত শাহ ও বলেছেন যে না না এন আর সি নিয়ে তো কোনও আলোচনা হয়নি, আমাদের নির্বাচনী ইস্তেহার এ আছে বটে কিন্তু আপাতত সরকার ঐ নিয়ে ভাবছে না। তাই এন পি আর আনা হল।  অমিত শাহ এবারেও জানালেন যে না না এন পি আর এর সঙ্গে এন আর সি র কোনও সম্পর্ক নেই, এন আর সি তো লুকিয়ে করা হবে না, এখন এন আর সি নিয়ে আমরা কিছু ভাবছিনা। কদিনের মধ্যেই ধরা পড়ে এল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিথ্যে বলছেন , বিরাট মিথ্যে। Home Ministry Report 2018-2019, ২৬২ পাতা এবং ২৭৩ পাতাতে সাফ বলা আছে, NPR is the first step towards implimetation of NRC,  পরিস্কার বলা আছে। এনপিআর হল এনআরসি-র দিকে প্রথম পদক্ষেপ। অমিত শাহ জী রা লুকিয়ে এই কাজটা করতে চাইছিলেন কেন? আসলে এই এনপিআর হল এনআরসির প্রথম ধাপ, আর একটু খুলে বলি কেমন করে এন আর সি লাগু করার কথা এনারা ভাবছিলেন।  এনপিআর এ এর আগে জানতে চাওয়া হত আপনার নাম, ঠিকানা, কী করেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি ১৬ টা প্রশ্ন, যার সবটাই আপনার সম্বন্ধে। সেটা কে পরিবর্তন করা হয়েছিল, আপনার মোবাইল নম্বর, পাসপোর্ট আছে কিনা, থাকলে নম্বর, আধার নম্বর (ইচ্ছে হলে দেবেন) প্যান নম্বর এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা এবার চাওয়া হচ্ছে তা হলো আপনার বাবা মা র জন্ম তারিখ এবং তাঁরা কোথায় জন্মে ছিলেন সেটা জানাতে হবে। এবার প্রশ্ন এটা থেকে এন আর সি তে কি করে যাওয়া হবে। খুব সোজা, এই তথ্যগুলো কিছু মানুষ বসে বিশ্লেষণ করবেন, এবং এর মধ্যে থেকে Doubtful voter, সন্দেহজনক ভোটারের তালিকা তৈরি হবে। আবার বিরাট বিরোধিতার মুখে তারা পেছোলেন। এবং বুঝতে পারলেন সারা দেশজুড়ে এই কাজ করতে গেলেই সারা দেশ থেকে প্রতিক্রিয়া আসবে, বরং আলাদা আলাদা করে রাজ্য ধরে ধরে করা হোক আর সেই কাজটা সরকার করবে না। সরকারের বাইরের এক প্রতিষ্ঠান, এক স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এর নামেই এই কাজ করা হবে। তাই বেছে নেওয়া হল নির্বাচন কমিশনকে। ভোটার তালিকাতে অনেক ভুল তথ্য আছে, ছবি থেকে নাম থেকে ঠিকানা, তাকে সংশোধন আগেও করা হত, এবারে সেটা করার জন্য নাম বদলে স্পেশ্যাল ইনটেন্সিভ রিভিশন অফ ভোটার লিস্ট করা শুরু হল। টেস্ট কেস নিজেদের রাজ্য বিহার। লক্ষ ভোটার তালিকা নয়, সেই একই লক্ষ্য, নাগরিকত্ব নির্ধারণ করা, বিজেপি আর এস এস এর কোর এজেন্ডা। এমনিতে ভোটার তালিকা তৈরি হবে, কিন্তু ওই ২০০২ এর আগে নাম না থাকলেই সেগুলোকে ডাউটফুল ভোটারের তালিকায় রাখা হবে, আর একবার এই তালিকা তৈরি হলেই বাকি কাজটা তো সোজা, মুসলমান বাছো আর বাংলাদেশে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে পাঠিয়ে দাও। অবশ্যই মধ্যে এক লম্বা সময় ধরে আইনী লড়াই চালাতে পারলেও আপনাকে থাকতে হবে ওই ডিটেনশন ক্যাম্পে। সেই লড়াই অসমে দু আড়াই বছর পর্যন্ত চলেছে। আপনি বিদেশী আপনার এদেশে থাকার অধিকার নেই, বেশ তো কিন্তু তিনি যে বিদেশী তা প্রমাণ হবে কেমন করে?

বহু মানুষের কাছেই প্রয়োজনীয় কাগজ নেই, গরীব মানুষ, লেখাপড়া  না জানা মানুষ, তাঁরা কী করবেন? তাঁরা সবাই বিদেশী? হ্যাঁ তারা বিদেশী, এটাই মনে করে আর এস এস – বিজেপি। কিন্তু যে ঐতিহাসিক কারণে আমাদের দেশ ভাগ হয়েছিল, যে ঐতিহাসিক অর্থনৈতিক, সামাজিক কারণেই মানুষ এদেশে এসেছে সেসব তো এত সোজা নয়। এটা আমেরিকা নয় যে আমেরিওকান ড্রিম এর খোঁজে এখানে মানুষ ঢুকে পড়েছেন। বহু কারণ আছে, সেসবের চটজলদি সমাধান সম্ভব নয়। কিন্তু ওনারা সেই সমাধান চান? ওনারা এই সমস্যাকে এত বড় করে তুলে ধরছেন কেন? কারণ একটাই, ওনারা দেশের ক্ষমতায় আছেন ১১ বছর, এবার মানুষ জানতে চাইছে রামমন্দির তো হল, এবার চাকরির কী হবে? টাকার দাম কমছে কেন? পেট্রল ডিজেলের দাম বাড়ছে কেন? খাবারের দাম বাড়ছে কেন? সেই প্রশ্নের জবাবে এক ভিলেন কে দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে, ওই যে মুসলমান ঘুসপেটিয়া, অনুপ্রবেশকারী, ওদেরকে তাড়ালেই সুখ শান্তি ঝরে কঝরে পড়বে।

হ্যাঁ আমাদের বোকা বানানোর জন্য এক কাল্পনিক শত্রু খাড়াকরা জন্যই এই সিএএ, এই এনপিআর, এনআরআসিআর শেষ মেষ এই এস আই আর। সবটারই মূল লক্ষ হলো ঐ একটাই, এক দানবের বিনির্মান, যাকে নিয়ে আপনি ব্যস্ত থাকবেন, যার কল্পিত জমি কেড়ে নেবার, মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেবার ভয়ে আপনি সমানে ভেবে যাবেন হিন্দু খতপরে মে হ্যায়। ভোটার লিস্ট এ নাম কাটা গেলে আপনাকে ডাউটফুল ভোটার লিস্ট এ ফেলা হবে, তারপর আপনার পরিচিতি নিয়ে বিস্তর প্রমাণ চাওয়া হবে, তারপর আপনার নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। যদি হিন্দু হন, আপনাকে বলা হবে আপনি ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করুন, মানে নিজেই বলুন যে আপনি ভারতের নাগরিক নয়। আর আপনি মুসলমান হলে তো কথাই নেই, ঘাড় ধাক্কা দিয়ে কাঁটাতারের ওপারে। এটা ওনাদের ইচ্ছে, সমস্যা হল ইচ্ছে আর বাস্তবের মধ্যে তো ফারাক থাকে, মূর্খদের সেই ফারাক বিরাট হয়, ভাবুন না এক সন্ধ্যায় এক মূর্খ এসে আমাদের জানিয়েছিল ১০০০ / ৫০০ টাকার নোট বাতিল করা হল, এর ফলে নাকি কালো টাকা সব বের হয়ে আসবে, আসেনি, মানুষের হয়রানি হয়েছে, একটা স্বচ্ছন্দ গতিতে বাড়তে থাকা অর্থনীতি হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। ঠিক সেরকম এক ধারনা হল এই পদ্ধতিতে অনুপ্রবেশ আটকানো যাবে, আর বেছে নেওয়া মুসলমানদের কাঁটাতারের বাইরে পাঠানো যাবে। সঠিক সংখ্যা বাদই দিন, সাধারণ কাজে যে চান্সেস অফ এরর, যে ভুলের সম্ভাবনা থাকে সেটা ১% হলেও ১.৪ কোটি মানুষ, কোথায় রাখা হবে এঁদের? কোথায় পাঠানো হবে এঁদের? এই মূর্খরা একবারও ভেবেছে? ভাবেনি, কেবল এক সাম্প্রদায়িক শ্লোগান, হিন্দু খতরে মে হ্যায় কে সম্বল করে মাঠে নেমে পড়েছে।

Read More

Latest News