কলকাতা: রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় বড়সড় পদক্ষেপ করল স্কুল শিক্ষা দফতর(School Education Department)। শুক্রবার জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল মিলিয়ে প্রায় ২৩,১৪৫ জন প্রাথমিক শিক্ষককে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাপক বদলির প্রধান লক্ষ্য হল রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতের (Student-Teacher Ratio) ভারসাম্যহীনতা দূর করা এবং পঠনপাঠন স্বাভাবিক রাখা। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই বদলি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।গোটা প্রক্রিয়াটি তদারক করবে প্রাথমিক শিক্ষা দফতর।
শহরের বাইরে গ্রামীণ এলাকার প্রাথমিক স্কুলগুলোতে অন্য ছবি। সেগুলো ধুঁকছে শিক্ষকের অভাবে। কোথাও একজন, কোথাও আবার দুজন শিক্ষক। তাই দিয়েই কোনওরকমে চলছে পঠন পাঠন। এবার সেই শিক্ষকের অপ্রতুলতার সমস্যায় জর্জরিত স্কুলগুলোর হাল ফেরাতে তৎপর হয় প্রশাসন। তার জন্য ‘থ্রি টিচার পলিসি’ গ্রহনের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল শিক্ষা দফতর। অর্থাৎ প্রাথমিক স্কুলগুলোতে যাতে অন্ততপক্ষে তিনজন করে শিক্ষক রাখা যায় সেই দিকেই নজর দেওয়া হচ্ছে। তার জন্য শহুরে এলাকার প্রাথমিক স্কুলে যেখানে অতিরিক্ত শিক্ষক রয়েছে, তাদের বদলি করা হবে গ্রামীণ এলাকায়।
শুক্রবার জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে ‘বাংলার শিক্ষা পোর্টাল’ থেকে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, সারা রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে অতিরিক্ত ২৩,১৪৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। অর্থাৎ পড়ুয়ার তুলনায় শিক্ষকের সংখ্যা বেশি। আর ঠিক তার বিপরীতে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল মিলিয়ে মোট ২৩,৯৬২ জন শিক্ষকের ঘাটতিও রয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পুরো বদলি প্রক্রিয়াটি প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হবে, যাতে কোথাও বিশৃঙ্খলা বা অসঙ্গতি না ঘটে।
অন্যদিকে, অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন— এত বড় সংখ্যায় বদলি হলে শিক্ষক-পরিবারের সামাজিক ও মানসিক চাপ কীভাবে সামলানো হবে, এবং বদলির পরবর্তী প্রশাসনিক প্রক্রিয়া কতটা কার্যকরভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
দেখুন খবর:







