ওয়েব ডেস্ক : সুন্দরবনের (Sundarban) ভাঙন কবলিত এলাকায় ভোটার খোঁজার কঠিন লড়াই। ভাঙন কবলিত উপকূলবর্তী এলাকায় ভোটার তালিকার নিবিড় (SIR) সংশোধন যেন ‘শেষ প্রান্তের গণতন্ত্র’ রক্ষার লড়াই হয়ে উঠেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার সুন্দরবনের উপকূলীয় অঞ্চলে এবার ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর প্রক্রিয়া করতে গিয়ে খানিকটা কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন নির্বাচন কর্মীরা।
নদী ও সাগরের লাগাতার ভাঙন এবং বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই এলাকার বহু মানুষ বাস্তুভিটে ও চাষের জমি হারিয়ে অন্য ঠিকানায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। মৌশুনি দ্বীপ, নামখানা, গোবর্ধনপুর, ঘোড়ামারা দ্বীপ-সহ বিভিন্ন ভাঙন কবলিত এলাকায় ভোটারদের নতুন ঠিকানা খুঁজে বের করা বিএলওদের (BLO) জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও খবর : বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে মুখ্যমন্ত্রীর নাম না বলায়, রাগে মঞ্চ ছাড়লেন সাংসদ
বিশেষ করে, ২০০২ সালের পুরনো ভোটার রোলের সঙ্গে বর্তমান তথ্য নিখুঁতভাবে মেলানো সবচেয়ে দুঃসাধ্য কাজ। এই পরিস্থিতিকে ‘শেষ প্রান্তের গণতন্ত্র’ রক্ষার লড়াই হিসেবে দেখছেন অনেকে। তবে এই কঠিন পরিস্থিতিতে এক নজিরবিহীন রাজনৈতিক সহযোগিতার ছবি দেখা যাচ্ছে। তৃণমূল (TMC) ও সিপিএম (CPM)-এর মতো দুই বিপরীত মেরুর দলীয় বুথ লেভেল এজেন্টরা (BLA) এবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন।
গ্রাউন্ড লেভেলে দুই দলের বিএলএ-রা (BLA) একত্রে ‘লোকেশান-হান্ট’ করে ভোটারদের নতুন ঠিকানা খুঁজে দিচ্ছেন এবং এনুমারেশন ফর্ম পৌঁছে দিতে সহযোগিতা করছেন। প্রত্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলে সঠিক ভোটার-তালিকা তৈরির জন্য এমন রাজনৈতিক কোলাবরেশন নিঃসন্দেহে এক ইতিবাচক পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।
দেখুন অন্য খবর :






