কলকাতা: প্রাকৃতিক দুর্যোগে (Natural Disaster) সবচেয়ে আগে বিপর্যস্ত হয় সাধারণ যোগাযোগব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ পরিষেবা। প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেই বাস্তব অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখে বিপর্যয়কালে বিকল্প যোগাযোগব্যবস্থা শক্তিশালী করতে নদিয়ায় বিশেষ উদ্যোগ নিল ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাব (West Bengal Radio Club)।
কৃষ্ণনগর ভালুকা কানাইনগর এলাকার তালতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের ফাঁকা মাঠে আয়োজিত হয়েছে টানা ৩০ ঘণ্টার রেডিও ডিএক্সসিং কর্মসূচি। অস্থায়ী রেডিও স্টেশন তৈরি করে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে বার্তা বিনিময় করা হবে এই দীর্ঘ কর্মযজ্ঞে।
আরও পড়ুন: শীতের আগেই রঙিন অতিথিদের আগমন, পরিযায়ী পাখির ডাকে মুখরিত জলপাইগুড়ি
ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সম্পাদক অম্বরিশ নাগ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় দ্রাঘিমা রেখার কাছে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের প্রভাবে রেডিও তরঙ্গে কী ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়, তা যাচাই করাই এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য। সংগৃহীত তথ্য ভবিষ্যতে দুর্যোগ পরিস্থিতিতে যোগাযোগ রক্ষার কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
শুধু তা-ই নয়, ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাব ও ইন্ডিয়ান একাডেমি অফ কমিউনিকেশন অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মীদের নিয়মিত হ্যাম রেডিও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় সরকারের লাইসেন্স থাকলেও মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা অনেকেরই সীমিত। এই কর্মসূচিতে শেখানো হবে,
-
দ্রুত অস্থায়ী রেডিও স্টেশন স্থাপনের কৌশল।
-
দুর্বল রেডিও প্রপাগেশনেও বার্তা পৌঁছে দেওয়ার প্রযুক্তি।
-
বৈশ্বিক বার্তা আদান–প্রদানের পদ্ধতি।
-
সৌরশক্তি ব্যবহার করে যোগাযোগ বজায় রাখার উপায়।
কৃষ্ণনগরের এই ৩০ ঘণ্টার রেডিও উদ্যোগ তাই শুধু প্রযুক্তিগত পরীক্ষা নয়, ভবিষ্যৎ বিপর্যয়ে মানবিক যোগাযোগ টিকিয়ে রাখার দিশা দেখাতে চলেছে বলেই মনে করছেন আয়োজকেরা।
দেখুন আরও খবর:







