Thursday, December 4, 2025
HomeScrollকষ্ট সামলে পর্যটকদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন জলদাপাড়ার আলোমতি!
Jaldapara

কষ্ট সামলে পর্যটকদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন জলদাপাড়ার আলোমতি!

গত ১১ বছর ধরে তিনি যুক্ত রয়েছেন এই কাজের সঙ্গে

আলিপুরদুয়ার : বিয়ের কিছু বছর পরেই মৃত্যু হয়েছে স্বামীর। দু’বছর আগে ক্যান্সারে মৃত্যু হয়েছে একমাত্র ছেলের। এমন পরিস্থিতিতে আকাশ ভেঙে পড়েছিল জলদাপাড়ার (Jaldapara) আলোমতি কার্জি (Alomoti Karji) উপর। তবে এত কষ্ট-দুঃখ সামলে পর্যটকদের হাসিমুখে জঙ্গল ঘুরিয়ে দেখানোর কাজ করে চলেছেন জলদাপাড়ার একমাত্র মহিলা গাইড (Guide) আলোমতি।

জানা গিয়েছে, স্বামীর মৃত্যু পর তাঁকে জঙ্গলে কাঠ কুড়িয়ে, দিন মজুরি করে সংসার চালাতে হত। কিন্তু তা করতে গিয়ে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয়েছে তাঁকে। জলদাপাড়া জঙ্গল ঘেরা এক বস্তিতে বাড়ি তাঁর। যেহেতু চারিদিকে জঙ্গলে ঘেরা। সেই কারণে সেখানে অবাধে ঘুরে বেড়ায় বন্যপ্রাণীরা। যার ফলে প্রায়ই দিনের আলোতেও গ্রামে বন্যপ্রাণী ঘুরে বেড়ানোর কারণে কাজে বেরোতে পারতেন না তিনি।

আরও খবর : বকেয়া মেটাতে হবে! কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে প্রতিবাদ তৃণমূলের

সেই সময় আলোমতির এই সংঘর্ষ দেখতে পান জলদাপাড়ার (Jaldapara) তৎকালীন বন্যপ্রাণ সহায়ক বিমল দেবনাথ। এরপরই আলোমতিকে গাইডের এই পেশায় যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। তার পরেই জলদাপাড়ার সরকার অনুমোদিত ৪২ জন গাইডের মধ্যে প্রথম মহিলা গাইড হন আলোমতি। পুরুষ প্রধান এই কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য প্রথমে কিছুটা ইতস্তত বোধ করলেও, ছেলে-মেয়ে ও শ্বশুর শাশুড়ির কথা মাথায় রেখে সেই গাইডের কাজে যুক্ত হন তিনি।

এর পরেই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু হয়। গত ১১ বছর ধরে তিনি যুক্ত রয়েছেন এই কাজের সঙ্গে। সেখানে হাসিমুখে পর্যটকদের জলদাপাড়া জঙ্গল ঘুরিয়ে চলেছেন আলোমতি কার্যি। তার এই জীবন সংগ্রাম সমাজের পুরুষ-নারী উভয়ের কাছেই একটা উদাহরণ বলে মনে করছেন অনেকেই।

দেখুন অন্য খবর :

Read More

Latest News