ওয়েবডেস্ক- ২০২৬ বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন (2026 Assemble Election)। সেই নির্বাচনকে টার্গেট করেই বাংলায় বঙ্গে আগমন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। এবার অবশ্য কোনও নির্বাচনী সভা নয়, এবার সাংগঠিক হাল হকিকৎ কেমন আছে, সংগঠন ভোটের আগে ঠিক কতটা মজবুত সেই অ্যাসিড টেস্ট করতেই বাংলায় এই শাহি সফর। এসেই বাংলায় দুর্নীতি থেকে নারী নিরাপত্তা (Women’s safety) , অনুপ্রবেশ, রাজ্যে শিল্পের অভাব সহ মতুয়াদের আশ্বস্থ করা সহ একাধিক ইস্যুতেই শাসকদলকে নিশানা করে ম্যারাথন আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন অমিত শাহ বলেন, এই বাংলায় মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে বিঁধে তিনি বলেন, সন্ধ্যা ৭ টার পরে, মহিলাদের ঘর থেকে না বের হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন? কোন জমানায় রয়েছি আমরা? মোগল যুগে নাকি? নারী নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সন্দেশখালি থেকে আরজিকর, দুর্গাপুরের প্রসঙ্গ টেনে এনে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে একের পর অভিযোগ করে বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ ভয় ও দুর্নীতির রাজ্যে’ পরিণত হয়েছে, রাজ্যে ক্রমশ অন্ধকারের দিকেই এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন- মেট্রোর কাজ কেন আটকে? কী জবাব দিলেন অমিত শাহ? দেখুন
এদিন অমিত শাহ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই রাজ্যে সর্বত্র দুর্নীতি। একাধিক নেতা-মন্ত্রীর নাম তুলে ধরে তিনি প্রশ্ন তোলেন, এর পরেও বলবেন আপনার রাজ্যে দুর্নীতি হয় না? শাহের দাবি, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে রাজ্যের মানুষ আতঙ্কিত এবং সুশাসনের জন্য পরিবর্তন চাইছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বিপুল ভোটে জিতে পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠন করবে বিজেপি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ করা হবে। তাঁর অভিযোগ, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ক্ষেত্রেও তৃণমূল সরকার বাধা দিচ্ছে এবং বিএসএফকে জমি দেয়নি।” অমিত শাহের হুঙ্কার, ২০২৬ সালের ভোট মূলত অনুপ্রবেশ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ভোট হবে।







