ওয়েব ডেস্ক: দুঃসময় যেন সইফ আলি খানকে (Saif Ali Khan)ঘিরে ধরেছে! ‘সদ গুরু শরণ’ আবাসন এখন তাঁর পক্ষে নিরাপদ নয় বলে হাসপাতাল থেকে বান্দার পুরনো বাড়িতে ফিরেছেন সইফ। নিরাপত্তা যতই জোরালো হোক দুষ্কৃতী হামলার পর হাসপাতালে অস্ত্র প্রচার সেরে সেই বাড়িতে আর ফিরলেন না বলিউড নবাব। লীলাবতী হাসপাতালে ছদিন চিকিৎসার পর স্ত্রী করিনা কাপুর ও দুই পুত্রকে নিয়ে তিনি বান্দ্রার ‘ফরচুন হাইটসে’ চলে গেছেন। কোনও ভাবেই সইফ আলি খান ও তার পরিবারের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। পতৌদির ১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি( Rs 15,000 cr property)নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে পরিবারের ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নাকি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে চলে যেতে পারে। মধ্যপ্রদেশের ভূপালে এই সম্পত্তিগুলিতে(Pataudi Palace) স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে আদালত। আর তার ফলেই এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি খোয়াতে চলেছে সইফের পরিবার।
আরও পড়ুন: শুরু হল আন্তর্জাতিক কলকাতা শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
২০১৪ সালে মধ্যপ্রদেশ সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল যে ভোপালের শেষ নবাবের সম্পত্তি ১৯৬৮ সালের ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’-এর অধীনে অধিগ্রহণ করা হবে। ২০১৫ সালে হাই কোর্টে আবেদন করেন সইফ। রাজ্য সরকারে সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্ট। গত ১৩ ডিসেম্বর সেই নির্দেশ তুলে নেওয়া হয়েছে। সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের আপিল ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার জন্য সইফ এবং তাঁর পরিবারকে ৩০ দিন সময় দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই সময়সীমাও পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও তাঁর তরফ থেকে কোনও আবেদন করা হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে ভোপালের জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।সইফদের যে যে সম্পত্তিগুলি সরকারের হাতে চলে যেতে পারে, সেগুলি হল ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউস, যেখানে সইফের ছোটবেলা কেটেছিল। এছাড়া নুর উস সাবাহ প্যালেস, দার-আস-সালাম, হাবিবি বাংলো, আহমেদাবাদ প্যালেস ইত্যাদি।
অন্য খবর দেখুন