ওয়েব ডেস্ক: জঙ্গি মদতে (Helping Terrorists) ফের পাকিস্তানের (Pakistan) মুখোশ খুলতে তৎপর ভারত (India)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) নজরে লস্করের ছায়া সংগঠন টিআরএফ (TRF)। কারা টিআরএফকে অর্থ সাহায্য করে তার তথ্য রয়েছে এনআইএ-র হাতে। তথ্যে রয়েছে পাকিস্তান সহ একাধিক দেশের যোগ। ওই তথ্যপ্রমাণ আন্তর্জাতিক স্তরে পেশ করবে ভারত। লক্ষ্য পাকিস্তানের অর্থ সাহায্য বন্ধ করা। ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স যাতে ফের পাকিস্তানকে ধূসর তালিকা ভুক্ত করে সেই চেষ্টাই করবে ভারত।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগে দীর্ঘ দিন ধরে সরব হয়েছে ভারত। পহেলগাম হামলার পর তা আরও স্পষ্ট হয়। জঙ্গি হামলার ঘটনায় অভিযোগ উঠে ছিল লস্কর ই তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা টিআরএফের বিরুদ্ধে। ওই জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যপ্রমাণ হাতে পেয়েছে ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। সূত্রের খবর, এনআইএ জানতে পেরেছে কারা লস্কর ই তৈবার ছায়া সংগঠনকে অর্থ সাহায্য করে। ওই তথ্যপ্রমাণ আন্তর্জাতিক স্তরে পেশ করবে ভারত।
আরও পড়ুন: সভার মাঝে বিস্ফোরণ! বালোচিস্তানে এক ঝটকায় মৃত ১৮
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের একটি কমিটি তরফে রিপোর্টে টিআরএফের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কমিটির দাবি, লস্করের সমর্থন ছাড়া পহেলগাওতে হামলা চালানো সম্ভব হত না। এনআইএ সূত্রে খবর, তাঁরা প্রায় ৪৬৩ ফোন কল ঘেঁটে জানতে পেরেছে, একাধিক দেশ অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছে টিআরএফকে। ওই তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান ও মালয়েশিয়া। এছাড়াও উপসাগরীয় এলাকার একাধিক দেশ। তদন্তকারী সংস্থা জানতে পেরেছেন, ইয়াসির হায়াত নামে এক ব্যক্তি ৯ লাখ টাকা দিয়েছেন টিআরএফকে। তাঁর সঙ্গে লস্কর জঙ্গি সাজির মীরেরও যোগাযোগ রয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, ব্যাঙ্কিং লেনদেনের কিছু তথ্যও তাদের হাতে এসেছে।
২০১৯ সালে টিআরএফের উত্থান। নয়াদিল্লির দাবি, এদের মূল্য লক্ষ্য হল কাশ্মীরের স্থিতাবস্থায় বিঘ্ন ঘটানো। তার জন্য নাশকতামূলক কাজকর্মের পুর্নবিন্যাস করার চেষ্টা করছে লস্করের এই ছায়া সংগঠন। পহেলগামে জঙ্গি হত্যালীলার পর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত আটাকানোর নজরদারি সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ। রিপোর্ট পেশ করে তারা কার্যত ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, এফএটিএফ যাতে ফের পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করে সেই চেষ্টাই করবে ভারত। সেটা করলে আন্তর্জাতিক স্তর থেকে আর্থিক সুবিধা পেতে বিপাকে পড়বে পাকিস্তান। ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকাতেই ছিল।
দেখুন আরও খবর: