ওয়েব ডেস্ক: হোয়াইট হাউসের সর্বোচ্চ কুর্সিতে বসেই একের পর এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল মার্কিন নাগরিকত্ব নীতি (US Citizenship Policy)। তবে এবার প্রেসিডেন্টের নতুন নাগরিকত্ব নীতিকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিল ওয়াশিংটনের সিয়াটেলের একটি আদালত (Court)। সেখানকার ডিস্ট্রিক্ট জজ জন কাফেনর বৃহস্পতিবার এক রায়ে ট্রাম্পের নির্দেশিকার কার্যকারিতা সাময়িকভাবে স্থগিতও করেছেন। এই রায় এক ধাক্কায় ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির (Immigration Policy) বিরুদ্ধে বড় ধরণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
আসলে গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর প্রথম দিনেই ট্রাম্প একটি নির্দেশনামায় স্বাক্ষর করেন। নির্দেশনামায় বলা হয়, আমেরিকায় জন্ম নেওয়া শিশুরা আর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পাবে না। যদি শিশুর বাবা-মা উভয়েই আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা হন, তাহলে শিশুকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তবে বাবা বা মায়ের মধ্যে যেকোনো একজন যদি মার্কিন নাগরিক না হন, সেক্ষেত্রে সদ্যোজাত শিশুটি নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য বলে গণ্য হবে না।
আরও পড়ুন: নথিহীন ভারতীয়দের আমেরিকা থেকে বের করে দেওয়া নিয়ে কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?
এই নীতি কার্যকর করার জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। এতে আমেরিকায় ভারতীয়সহ অন্যান্য অভিবাসী পরিবারগুলোর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। অনেক অন্তঃসত্ত্বা মা তাঁদের সন্তানকে নির্ধারিত সময়ের আগে জন্ম দেওয়ার জন্য হাসপাতালে সিজার করানোর আবেদন করছেন। তবে এরই মাঝে এই বিষয়টির উপর হস্তক্ষেপ করল আদালত।
আদালত জানিয়েছে, ট্রাম্পের নতুন নীতি আমেরিকার সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর সরাসরি বিরোধিতা করে। ১৮৬৮ সালে সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে বলা হয়েছে, আমেরিকার মাটিতে জন্মগ্রহণকারী প্রত্যেক শিশুই নাগরিকত্বের অধিকার পাবে। ১৯৫২ সালের অভিবাসন এবং জাতীয়তা আইনেও একই কথা বলা হয়েছে। আদালতে এই আইনি পয়েন্টগুলিকে সামনে রেখে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। আর শেষমেষ আদালত ট্রাম্পের নীতিকে ‘স্পষ্টতই অসাংবিধানিক’ বলে ঘোষণা করল।
দেখুন আরও খবর: