ওয়েব ডেস্ক: একটি নয়, পৃথিবীর নাকি এখন দু’টি চাঁদ (Moon)! এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে পচলে চুমুল হইচই। কেউ বিশ্বাস করছেন, কেউ আবার ভুয়ো খবর বলে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এই একজোড়া চাঁদের গল্পটা কতটা সত্যি? বাস্তবে একজোড়া উপগ্রহ (Earth’s Satellite) পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করলে কি কিছু বিশেষ পরিবর্তন হবে? চলুন এবার আপনার মনে জমে থাকা এইসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাক।
বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর একজোড়া চাঁদের খবরটি আংশিকভাবে সত্যি। আসলে ‘দ্বিতীয় চাঁদ’ (Earth’s Second Moon) বলে যে মহাজাগতিক বস্তুকে ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা, সেটি আসলে আমাদের নীলগ্রহের কোনও উপগ্রহ নয়। তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এটিকে ‘কোয়াসি–মুন’ (Quasi-Moon) বা ‘অর্ধচন্দ্রাকার সঙ্গী’ বলে অভিহিত করছেন।
আরও পড়ুন: ২০২৫-এর বর্ষা এত ভয়ঙ্কর কেন? নেপথ্যে কি জলবায়ু পরিবর্তন?
জানা গিয়েছে, এই মহাজাগতিক বস্তুটির নাম 2025 PN7। ২০২৫ সালের ২ অগাস্ট এটি প্রথম শনাক্ত করেন হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। হাওয়াইয়ের হালিয়াকালা আগ্নেয়গিরির ওপর অবস্থিত প্যান-স্টারস (Pan-STARRS) পর্যবেক্ষণাগারে চলা এক নিয়মিত টেলিস্কোপ নজরদারির সময় আবিষ্কৃত হয় এই ক্ষুদে গ্রহাণুটি। গবেষকদের মতে, 2025 PN7 একটি ছোট আকারের মহাজাগতিক বস্তু, যার ব্যাস আনুমানিক ১৮ থেকে ৩৬ মিটার। এটি পৃথিবীর চারপাশে এমনভাবে ঘুরছে যে, অনেকে এটিকে দ্বিতীয় চাঁদ বলে ভাবছেন। তবে আসলে এটি পৃথিবীর থেকে প্রায় চার মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে, অর্থাৎ আমাদের চাঁদের দশগুণ দূরত্বে অবস্থান করছে।
স্পেনের অধ্যাপক কার্লোস দে লা ফুয়েন্তে মার্কোস জানিয়েছেন যে, এই বস্তুটি আসলে ১৯৬০-এর দশক থেকেই পৃথিবীর আশেপাশে রয়েছে। কিন্তু এর আকার এতটাই ক্ষুদ্র যে, মানুষের তৈরি টেলিস্কোপ এতদিন সেটি ধরতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, এটি কেবলমাত্র তখনই দৃশ্যমান হয়, যখন এটি পৃথিবীর কাছাকাছি আসে, যেমনটি ঘটেছে এই গ্রীষ্মে। তবে 2025 PN7 সূর্যকে পৃথিবীর মতো একই সময়ে রেজোন্যান্স কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করছে। ফলে এটি পৃথিবীর সঙ্গী হয়ে বহু বছর ধরে মহাকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যদিও কোনও একদিন এটি আবার মহাশূন্যে হারিয়ে যাবে।
দেখুন আরও খবর: