কলকাতা: সোমবার কলকাতার রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-র দফতরের সামনে দফায় দফায় ছড়াল উত্তেজনা। এদিন সিইও দফতরে (CEO Office) আসেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’র সদস্যেরা। সিইও দফতের শুভেন্দু যেতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিএলও (CEO Office Trinamool BLOS Protest) অধিকার রক্ষা কমিটি। দু’পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডাও শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে।
গত কয়েক দিন ধরেই সিইও দফতরের সামনে অবস্থান চালাচ্ছে বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি। সোমবার বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্তর সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপির প্রতিনিধি দল। বিএলও অধিকার মঞ্চের তরফ থেকে বিএলও-রাও এদিন নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি জমা দিতে আসেন। বিজেপি বিধায়ক ও বিএলও-রা মুখোমুখি হতেই তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দফতরের বাইরে অবস্থান করা ‘বিএলও অধিকার রক্ষা’ কমিটির সদস্যরা তাঁদের দেখে চিৎকার করতে থাকেন। তাঁরা আসতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। শুভেন্দু অধিকারীকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। সিইও অফিসের সামনে তুমুল উত্তেজনা। বিক্ষোভের মাঝেই শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধিদল সিইও দফতরের ভিতরে প্রবেশ করে। তাঁরা ইতিমধ্যে সিইও দফতরের ভিতরে বৈঠক শুরু করেছেন। অন্যদিকে সিইও দফতরের বাইরে বিএলওদের বিক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে।
আরও পড়ুন:ডিসেম্বরের শুরুতেই গোপীবল্লভপুরে ইডির হাইভোল্টেজ অভিযান!
বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির বিক্ষোভের পাশাপাশি সিইও দফতরের বাইরে ভিড় জমেছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদেরও। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যারিকেড দেয়। দেখা যায়, ব্যারিকেডের ওপর উঠে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এদিকে পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করাও। বাইরে মোতায়েন রয়েছে বিশাল বাহিনী, RAF। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করছেন শুভেন্দু অধিকারী। অবরুদ্ধ CEO দফতরের সামনের রাস্তা। বাইরে যখন এই বিক্ষোভ চলছে, তখন দফতরের ভিতরে সিইও মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা তুলে ধরেন শুভেন্দুরা। সিইও-র হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন তাঁরা। ওই বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, “সুপার টাইমার আইএএসদের বাদ দিতে হবে। বাংলাদেশি মুসলিমদের নাম বাদ দিতে হবে। অনেকের নাম রয়েছে।”
অন্য খবর দেখুন







