কলকাতা: বাংলায় ১৮ থেকে নেমে এবারের লোকসভা ভোটে (Loksabha Vote) বিজেপির সাংসদ সংখ্যা হয়েছে ১২। ২০১৮ সালে বিজেপির (BJP) যে সদস্য সংখ্যা ছিল রাজ্যে এবার তার অর্ধেকও হল না। সেবার সদস্য সংগ্রহ হয়েছিল ৮২ লাখ। এবার সাকুল্যে না কি তার তিন ভাগের এক ভাগ হয়েছে। অবশ্য বিজেপির দাবি, সদস্য সংগ্রহ হয়েছে ৩৪ লাখ। সাধারণত মাধ্যমিকস্তর থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত মূল্যায়নের তালিকায় ৩৪ নম্বরকে গড়ে পাশ মার্কস হিসেবে ধরা হয়। অমিত শাহ (Amit Shah) টার্গেট দিয়েছিলেন ১ কোটি বা ১০০ লাখ। সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ তো হয়ইনি। লজ্জা ঢাকতে বারবার দিন বাড়ানো হয়েছে। তাতে টার্গেট ১০০ লাখের মধ্যে বছর শেষে হল ৩৪ লাখে। সেই হিসেবে বিজেপি লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পরীক্ষায় পাশ করল!
বারবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য দিন বাড়ানোর পর অবশেষে ডিসেম্বর মাসে তারা শেষ করেছে মিসড কলে ৩৪ লক্ষ সদস্য সংগ্রহের কাজ। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছিলেন, সারা দেশে যে কোনও পরীক্ষায় পাশ করতে গেলে একশোর মধ্যে ৩৪ পেতে হয়। তখন রাজ্য বিজেপির সদস্য হয়েছিলেন ২৬ লক্ষ। শেষ পযন্ত ৩৪ লক্ষ অতিক্রম করল রাজ্য বিজেপি। যদিও লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক দূরে তারা।
আরও পড়ুন: মালদা কাণ্ডে গ্রেফতার সাত, উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি ফিরহাদের
এই বিতর্কের মধ্যে এবার সক্রিয় সদস্য এবং মণ্ডল সভাপতি, জেলা সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপির সভাপতির তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাতে অবশ্য বাংলার নাম নেই। জানা গিয়েছে, সদস্য সংগ্রহের কাজ ঠিকমতো হয়নি বলে এই রাজ্যে সভাপতি বদল নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ায় এক পদ নীতি মেনে নতুন রাজ্য সভাপতি বাছাই হওয়ার কথা।
দেখুন অন্য খবর: