ওয়েবডেস্ক: কংগ্রেস (Congress) ও বিজেপির (BJP) এক স্বর? শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই হতে পারে ভারতীয় রাজনীতিতে। সাধারণত দেশীয় নিরাপত্তা, বিদেশনীতি সহ স্পর্শকাতর কয়েকটি বিষয়ে শাসক, বিরোধী পক্ষের এক মত দেখা যায়। তাও নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জমানায় শাসক-বিরোধীর সৌজন্যের ছবি দূরবীনে খুঁজতে হতে পারে। এককথায় সাপে নেউলের সম্পর্ক। তবে বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপি একই স্বরে মত দিতে পারে। কলেজিয়াম (Collegium) ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। এমনই ইঙ্গিত মিলছে। গত ১৪ মার্চ দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশোবন্ত ভার্মার বাড়ি থেকে বিপুল টাকা উদ্ধার হওয়ার অভিযোগ ওঠে। তারপরই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকার বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কলেজিয়াম ব্যবস্থার বিতর্ক ফের সামনে আনেন। বিজেপি বিচারপতিদের কলেজিয়ামের মাধ্যমে নিয়োগ ব্যবস্থা তুলে দেওযার পক্ষে। বিচারপতি নিয়োগে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কমিশনের প্রসঙ্গ ফের চর্চায় এসেছে। কংগ্রেস ইঙ্গিত দিচ্ছে, তারাও কলেজিয়াম ব্যবস্থার বদল চাইছে। এই প্রসঙ্গে বিল এলে তারা সমর্থন করবে। তবে শর্ত দিয়ে জানিয়েছে, বিচারপতি নিয়োগে যেন একচেটিয়া সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকে।
স্বাভাবিকভাবেই বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেসের একই বক্তব্যে পদক্ষেপ হতে পারে। যা সাম্প্রতিক রাজনীতিতে চমকপ্রদ ঘটনা। তবে এর আগে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে কংগ্রেসও বিচারপতি নিয়োগে বিল আনার উদ্যোগ নিয়েছিল। নরেন্দ্র মোদি সরকার ন্যাশনাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট অফ জুডিশিয়াল কমিশন আইন করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দেয়। ২০১৪ সালে ওই বিলকে সমর্থন করেছিল কংগ্রেস। কংগ্রেস সূত্রে খবর, তাদের বক্তব্য, বিচারপতি নিয়োগে সন্তোষজনক ব্যবস্থা দরকার। যা নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে গ্রহণযোগ্যতাও নিশ্চিত করবে। প্রাক্তন আইন মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি বলেন, ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট অ্যাক্ট সুপ্রিম কোর্ট আটকে দেয়। তারপর এনডিএ সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ করা উচিত ছিল। তারা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলে নতুন বিল আনতে পারত। বিচারপতি নিয়োগ ও বিচার প্রক্রিয়ার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে দুটি আইন তৈরির সময় এসেছে।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল আম্বেদকরের জন্মদিনে জাতীয় ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের
দেখুন অন্য খবর: