ওয়েব ডেস্ক: ইজরায়েল (Israel) ও হামাসের (Hamas) মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি (Ceasfire) চলাকালীনই ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) বড় পদক্ষেপ। যা নতুন করে আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়ে আনল গাজার আকাশে। প্রেসিডেন্ট হলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ইজরায়েলের সঙ্গে গাজায় হামাসের যুদ্ধের বিষয়ে ইজরায়েলের পক্ষে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল ট্রাম্পকে। সেই তিনি এবার ইজরায়েলকে অস্ত্র সাহায্যে বড় পদক্ষেপ করলেন। যে পদক্ষেপ করেননি জো বাইডেনও। ট্রাম্প প্রশাসন আমেরিকার মিলিটারিকে দুহাজার পাউন্ড বোমা জোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে ছাড় দিল। ফলে ট্রাম্পের নীতি নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে আসার কথা জানিয়েছে আমেরিকা। ইজরায়েল গাজা, লেবানন সহ একের পর এক দেশে হামলা করেছে। সেই ইজরায়েলকে বোমা দিয়ে সাহায্য করায় চিন্তা বাড়ল শান্তিকামী মানুষদের।
সাধারণ নাগরিকের উপর ওই বোমার অভিঘাতে প্রাণহানির আশঙ্কা করে বাইডেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশকে তা সরবরাহ করতে রাজি হননি। এই বিষয়ে ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প বলেন, ‘অনেক কিছু যার মূল্য দিয়েছে ইজরায়েল। বাইডেন পাঠাননি। তা এবার যাওয়ার পথে।‘ তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
আরও পড়ুন: বিপাকে ইউনুস প্রশাসন, বন্ধ মার্কিন সহায়তা
গত রবিবার থেকে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ বিরতি চলছে। ইতিমধ্যে ইজরায়েলের জেলে থাকা হামাসের বন্দিদের কয়েকজনকে ছাড়া হয়েছে। আবার হামাসও অপহরণ করা ইজরায়েলের বাসিন্দাদের ছেড়েছে। ট্রাম্প শপথের আগেই জানিয়েছিলেন, যদি হামাস ইজরায়েলের বন্দিদের না ছাড়ে তাহলে খারাপ পরিণতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ইজরায়েলের হামলায় এখনও পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৪৭ হাজার প্রাণহানি হয়েছে। ২০২৩ সালের সাত অক্টোবর হামাস ইজরায়েলে হামলা করে। যে ঘটনায় ১২০০ জনের মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যে হামাস ইজরায়েলের চার মহিলা সেনাকে মুক্তি দিয়েছে। পাল্টা ইজরায়েলও প্যালেস্তাইনের ২০০ জনকে ছেড়েছে। ১৫ মাস টানা যুদ্ধ চলার পর এই যুদ্ধ বিরতি।
দেখুন অন্য খবর: