ওয়েব ডেস্ক: ‘ভারতে আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ভোটের জন্য ২১০ কোটি টাকা দিয়েছি।‘খোদ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) স্বীকারোক্তিতে তোলপাড় ভারতীয় রাজনীতি। মোদিকে নিশানা বিরোধী দলগুলির। কয়েকদিন ধরে আমেরিকার বিভিন্ন দেশে অর্থ সাহায্যের জন্য ইউএসইড (USAID) প্রকল্প নিয়ে একের পর এক মন্তব্য করছিলেন ট্রাম্প। এর আগে ইউএসএইডকে ঘুষ বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। এমনকী ওই টাকা কী হচ্ছে তাও জানা যায় না বলেও জানিয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠছে, ওই টাকা ভোট কিনতে ব্যবহার করা হচ্ছে, এটা বলতে চাইলেন ট্রাম্প? ট্রাম্প ও বন্ধু একের অপরের বন্ধু বলেই পরিচিত। এমনকী প্রটোকলের বাইরে দুজনে দুজনের জন্য ভোটের প্রচারও করেছেন একসময়। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে মোদি-ট্রাম্পের মধুচন্দ্রিমা কি তবে শেষ হতে চলেছে?
ট্রাম্প ইতিমধ্যে ইউএসএইড বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ, ভারতকে না দিয়ে আমেরিকায় ওই টাকা খরচ করলে ভালো হত, এই সংক্রান্ত বাক্যবাণ শোনা যাচ্ছিল। মূলত তাঁর টার্গেট ছিল জো বাইডেন প্রশাসন। এবার শুক্রবার ওয়াশিংটনে একটি অনুষ্ঠানে মোদিকে টাকা দিচ্ছি সংক্রান্ত মন্তব্য করায় চাপান উতোর শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় পিঠ বাঁচাতে বিজেপিকেও আক্রমণ করা শুরু করেছে ট্রাম্পকে।
আরও পড়ুন: মাস্ক পুত্রের দুষ্টুমি, রাগে নিজের প্রিয় ডেস্কই বদলে ফেললেন ট্রাম্প?
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, এই নিয়ে তৃতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানালেন ভারতে ভোটের জন্য আমেরিকার অর্থ সাহায্যের কথা। তিনি কি তাঁর নিজের দেশের ব্যয়ের কথা জানেন? এর আগে ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে গেরুয়া শিবির কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও তোপ দাগে। নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতায় আসা আটকাতে বিদেশি সাহায্য নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। ট্রাম্প জানিয়েছিলেন ২১ মিলিয়ন ‘ভোটার টার্নআউটের’ জন্য ভারতকে দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। অন্য কেউ নির্বাচিত হন সেটাই চেয়েছিলেন। এটাকে ট্রাম্প ঘুষের প্রকল্প বলেও উল্লেখ করেছিলেন। ট্রাম্পের ব্যাখ্যা, ‘আমরা ভারতকে দিচ্ছি, এতে আমাদের কী হচ্ছে? আমিও বেশি ভোট চাই।’
ইউএস এইডের মাধ্যমে ভারতে টাকা আসা সংক্রান্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই বিষয়টি নির্দিষ্ট বিভাগ খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন।
দেখুন অন্য খবর: