ওয়েব ডেস্ক: রাশিয়া (Russia) যখন ইউক্রেন (Ukraine) আক্রমণ (Attack) করল। গেল গেল রব উঠেছিল। এই বুঝি ধ্বংস হয়ে গেল ইউক্রেন। সে ছিল ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। তিন বছর অতিক্রান্ত। বিশ্বের অন্যতম সেরা সামরিক শক্তির রাশিয়া ইউক্রেনের অনেকটা অংশ দখল করলেও এখনও দাঁতে দাঁতে চেপে লড়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। কোন জাদুবলে? আমেরিকা (US) সহ পশ্চিমী বিশ্ব ইউক্রেনকে সামরিক ও অর্থ সাহায্য করে গিয়েছে। সব থেকে ঢাল হয় আমেরিকা। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে আমেরিকার সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করতে উদ্যোগী ট্রাম্প। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সম্প্রতি ট্রাম্পের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। জেলেনস্কির অভিযোগ ট্রাম্প রাশিয়ার পক্ষ নিচ্ছেন। ট্রাম্প জেলেনস্কিকে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা করেন। ট্রাম্পের থেকে সরে এসে ইউক্রেনের পাশে ইউরোপ। ট্রাম্প ইতিমধ্যে ইউক্রেনে আরও কোনও সাহায্য করা হবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন। এক ঝলক চোখ বুলিয়ে দেখে নেওয়া যাক জো বাইডেনের আমেরিকা কী কী সাহায্য করেছে ইউক্রেনকে। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকা ৬৫.৯ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে ইউক্রেনকে।
আকাশ প্রতিরক্ষা: মাটি থেকে আকাশ পথে হামলার মিসাইল দেওয়া হয়েছে। ইউরোপের অন্য দেশগুলিও এই ধরনের মিসাইল দিয়েছে। টুয়েলভ নাজামস, হক সিস্টেম দেওয়া হয়েছে। ৩ হাজারের বেশি অ্যান্টি এয়ারক্রাফট মিসাইল দেওযা হয়েছে। ২১টি আকাশ পথে নজরদারির রাডার দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প-জেলেনস্কি সংঘাতের পর ইউক্রেনের ভবিষ্যত কী?
মিসাইল মর্টারস: ২০০-র বেশি ১৫৫এমএম হাউৎজার, ৭২ হাজার ১০৫ এমএম হাউৎজার, ৭২টি ১০৫ এমএম হাউৎজার, ৭ লক্ষ মর্টার দেওয়া হয়েছে। ৪০টির বেশি হিমারস, হাল্কা গাড়িতে বহনযোগ্য রকেট লঞ্চার। এছাড়া ১০ হাজারের বেশি জ্যাভলিনস দেওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইলস। গ্রেনেড সহ গুলি, বারুদ দিয়েছে।
ট্যাঙ্ক: সেভিয়েত ডিজাইনের ২০টি এমআই ১৭ হেলিকপ্টার দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন মডেলের ড্রোন দেওয়া হয়েছে। ৩১টি আব্রামসের মতো ভারী ট্যাঙ্ক দেওয়া হয়েছে। সোভিয়েতের ডিজাইন করা টি৭২বি ট্যাঙ্কও দেওয়া হয়েছে। উপকূলের জন্য পেট্রোল বোট দেওয়া হয়েছে। নাইট ভিশন গগলস, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সিস্টেম দেওয়া হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: