পূর্ব মেদিনীপুর: এক নির্মম মহিলার পাশবিক ঘটনা। যা শুনলে লজ্জায় মুখ ঢাকবেন মায়েরা (Mother)। বলা হয় খারাপ সন্তান যদিও বা হয় কুমাতা কখনও নয়। একথাকে ভুল প্রমাণ করে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) রামনগর থানা (Ramnagar PS) এলাকার এক মহিলার সন্তানকে খুনের জন্য নির্মম অত্যাচারের ঘটনা নাড়িয়ে দিল। মা ও সৎ বাবার জীবনে অতিরিক্ত বোঝা হয়ে যাচ্ছিল ছয় বছরের শিশুটি (Child)। তাই তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল তারা। শুরু হয় পরিকল্পনা। শিশুটির মুখ বেঁধে, হাত পা ভেঙে, মাথায় আঘাত করে নৃশংসভাবে মারধর। অত্যাচারে জ্ঞান হারায় সে। মৃত্যু হয়েছে ভেবে গভীর রাতে বাড়ি থেকে দু-কিলোমিটার দূরে একটি ফাঁকা মাঠের ঝোঁপে ফেলে দেওয়া হয় শিশুটিকে। যাতে শিয়াল কুকুরে ছিঁড়ে খায়। মাটিতে পুঁতে ফেললে ইদানীং ধরে ফেলার ঘটনা হামেশাই প্রকাশ্যে আসছে। তাই সেই আশঙ্কা থেকে এই চিন্তা ওই দম্পতির। কিন্তু রাখে হরি মারে কে। শিশুটি তার ভাগ্যের জোরে ঠান্ডায় রাতভর প্রায় আট ঘন্টা সংজ্ঞাহীন পড়ে থাকার পরও বেঁচে যায়। বুধবার সকালে বাচ্চাটি উদ্ধার হতেই চাউর হয় ওই ঘটনা।
অভিযুক্ত দম্পতি যুগলকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা উত্তর হলদিয়া গ্রামের খয়রাণ্ডা এলাকায়। আশেপাশের গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। পুলিশ শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই অভিযুক্ত দম্পতিকেও উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, পকসো আইনে গ্রেফতার যুবক
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে শিশুটিকে। তার দুই হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুণধর সৎ বাবার নাম সুকদেব মণ্ডল। তার মায়ের নাম মামনি গিরি। প্রায় পাঁচ বছর আগে মামনির প্রথম পক্ষের স্বামী কার্তিক গিরির পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। তারপর থেকে মামনি শিশু সন্তানকে নিয়ে পাশের গ্রাম দামোদরপুরে বসবাস করত। এরপর উত্তর হলদিয়ার সুকদেব মণ্ডলের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। তারপরই শুরু হয় শিশুর উপর অত্যাচার। শিশুটি দম্পতি যুগলের পথের কাঁটা হয়ে উঠেছিল। তাই গভীর রাতে শিশুটিকে ঘুম থেকে তুলে মেরে ফেলার প্রয়াস। এমনটাই অভিযোগ। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
দেখুন অন্য খবর: