ওয়েব ডেস্ক: প্রায় ৫০০ গ্রামবাসী (Villagers) মাঠে নেমে পড়েছিলেন। চিরুনি তল্লাশিতে তাঁরাও যেন একেকজন পুলিশের (Police) ভূমিকায় কাজ করেছেন। খেতে, খামেরা, মাঠে, ময়দানে কোনায় কোনায় খোঁজ চলেছে। পুনেতে (Pune) বাসের ভিতরে মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীকে ধরতে এভাবেই এলাকার গ্রামবাসীরা কাজ করেছেন। অভিযুক্তকে (Accused) ধরতে চক্রব্যুহ তৈরি করতে হয়েছিল পুলিশকে। গ্রামবাসী, পুলিশকর্মী, পুলিশ কুকুর। সঙ্গে ড্রোন, সিসিটিভি তল্লাশি। অন্ধকারে ধর্ষণের পর অপরাধী মাস্ক পড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। ক্রাইমের পর ধর্ষক এক ব্যক্তির কাছে জল চেয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই পাকড়াও অভিযুক্ত দত্তাত্রেয় রামদাস গেদে। তাকে ধরতে দক্ষযজ্ঞ বাধাতে হয় পুলিশকে। শিরুরের একটি খেতে লুকিয়ে ছিল। ঘটনার ৭৫ ঘণ্টা পরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুনে পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্তে গ্রামবাসীদের অবদানের কথা।
এই বিশেষ অপারেশন কীভাবে হয়েছে? অফিসার সহ প্রায় ৫০০ পুলিশ কর্মী, ডগ স্কোয়াড ও ৪০০ গ্রামবাসী এই অভিযানে নামেন। পুনে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা তিনদিন ধরে অপরাধীর খোঁজে চিরুনি তল্লাশি করেছিলেন। তাঁদেরকে এই কাজে সহায়তা করেছেন ৪০০-৫০০ গ্রামবাসী। ডগ স্কোয়াড বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিত করে। সেখান থেকেও সূত্র পাওয়া যায়। অবশেষে রাত ১টা বেজে ১০ মিনিটে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। যে তাকে খুঁজে পেতে সূত্র দিয়েছেন সেই ব্যক্তিকে ঘোষণা মতো এক লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির কাছে জল খেতে আসেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযুক্তকে ধরা সম্ভব হয়েছে। তাকে ধরতে দেরি হলেও ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে চিহ্নিত করা যায়। এই ঘটনার তদন্তে একটি বিশেষ তদন্তকারী টিম গঠন করা হয়। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলা চলবে। শীঘ্রই মহিলা নিরাপত্তা অডিট করা হবে।
আরও পড়ুন: নর্দমা সাফাইয়ে মানুষ নামানো নিষিদ্ধ, তাও কেন মৃত্যু? রাজ্যকে ‘সুপ্রিম প্রশ্ন’
মেডিক্যাল ক্ষেত্রে কর্মরত ২৬ বছরের তরুণীকে এসি বাসের মধ্যে ধর্ষণ করা হয়। মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে পুনের স্বারগেট বাস ডিপোতে ওই ঘটনা ঘটে। কাজে যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষারত তরুণীকে মিথ্যা কথা বলে ফাঁকা বাসের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় মহারাষ্ট্র। সারা দেশজুড়েই আলোড়ন পড়ে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাইয়ের অভিযোগ আগেও রয়েছে। সে জেলেও গিয়েছিল।
দেখুন অন্য খবর: