কলকাতা:ফের বিপাকে সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। তার বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেম করার অনুমতি মিলেছে রাজ্যের। নিম্ন আদালতের চলছে প্রক্রিয়া করণ। তার মাঝে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ আরজি কর দুর্নীতি মামলার অভিযোগে অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ ও আশীষ পাণ্ডে। তাঁর দাবি কলকাতা হাইকোর্টের আদেশের পুনর্বিবেচনা করা হোক। মামলা রুজুর আবেদন গ্রহণ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের (Justice Tirthankar Ghosh)।
আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ এবং আশীষ পান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন আকতার আলি। এই মামলার প্রেক্ষিতে কয়েকদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নিম্ন আদালতকে দ্রুত শুনানির নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মেনে গতকাল চার্জসিট গ্রহণ করেছে নিম্ন আদালত। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসের দ্বারস্থ সন্দ্বীপ ঘোষ ও আশিস পাণ্ডে। দাবি, বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নিম্ন আদালতকে যে দ্রুত শুনানির নির্দেশ দিয়েছে সেটার পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেই বিদায় নেবে শীত, সরস্বতী পুজোয় মিলবে বসন্তের ছোঁওয়া?
আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, হাইকোর্টের ওই নির্দেশের ফলে সিবিআই তিন দিনের মধ্যে চার্জ ফ্রেম করতে চাইছে। যা বাস্তবে অসম্ভব। তাই হাইকোর্টের আগের দেওয়া রায় পুনর্বিবেনার প্রয়োজন। তাঁরা বলেন, ‘সিবিআই-এর তরফে আমরা আগে কোনও নথি পাইনি। এখন বিশেষ আদালতের নির্দেশের পরে সেই নথি আমাদের দেওয়া হচ্ছে। কারণ ১০ হাজার পাতার চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। সেটা পড়ার প্রয়োজন রয়েছে দ্রুত শুনানি হলে অভিযুক্তদের পক্ষে সেই মামলা অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। তাই এই আবেদন তাদের। এই বক্তব্য শোনার পরও সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে তার দ্রুত শুনানির আবেদন করেন আইনজীবীরা। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেলকে নোটিশ পাঠিয়ে ফের আবেদন করুন। নিম্ন আদালতে গিয়ে আপনারা আপনাদের বক্তব্য পেশ করুন। কেন আমি সাত দিনের মধ্যে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলাম কারণ আরজি কর দুর্নীতির মামলায় বিচারে সিস্টেমেটিক ডিলে করা হচ্ছে। কে করছে, কেনও করছে আমি সেই দিকে যাচ্ছি না। কিন্তু গত নভেম্বরে চার্জশিট দেওয়ার পরেও ট্রায়ালে দেরি হচ্ছে এ টা লক্ষ্য করেছি।
অন্য খবর দেখুন