Thursday, September 11, 2025
বাঙালি কাউন্টডাউন
Homeআন্দামানে জ্যাকপট! রাতারাতি বদলে যাবে ভারতের অর্থনীতি?

আন্দামানে জ্যাকপট! রাতারাতি বদলে যাবে ভারতের অর্থনীতি?

ওয়েব ডেস্ক: আন্দামান সাগরের (Andaman Sea) তলদেশে বিশাল খনিজ তেলের ভাণ্ডার (Guyana-Sized Oil Reserves)। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর (Hardeep Singh Puri) ঘোষণাকে ঘিরে ব্যাপক জল্পনা দেশজুড়ে। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, খনিজ তেলের ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা অর্জনের পথে এক ঐতিহাসিক সাফল্যের দিকে এগোচ্ছে দেশ। কেন্দ্রের অনুমান, আন্দামান অঞ্চলে অন্তত ২ লক্ষ কোটি লিটার খনিজ তেল রয়েছে। এটি সঠিক প্রমাণিত হলে ভারতের জিডিপি পাঁচ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন মন্ত্রী।

হরদীপ সিং পুরীর বক্তব্য অনুযায়ী, এতদিন দেশের জ্বালানি চাহিদার প্রায় ৮৫ শতাংশই বিদেশি আমদানির উপর নির্ভরশীল। যার জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলে ভারতের অর্থনীতি বারবার ধাক্কা খায়। সম্প্রতি ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সেই ঝুঁকিকে আরও প্রকট করেছে। এই প্রেক্ষাপটে আন্দামান সাগরের তেল ভাণ্ডার ভারতের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছে।

আরও পড়ুন: কফিনে শুয়ে ছেলে, পাইলট সুমিত সাভারওয়ালকে শেষ বিদায় বৃদ্ধ বাবার

পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা যদি সফলভাবে এই খনিজ তেল উত্তোলন শুরু করতে পারি, তবে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা অনেকটাই নিশ্চিত হবে। তেল আমদানির উপর নির্ভরতা কমবে, দেশীয় উৎপাদন বাড়বে এবং অর্থনীতি শক্ত ভিতের উপর দাঁড়াবে।”

২০০২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে জ্বালানি অনুসন্ধানে ভারতের অগ্রগতি খুবই সীমিত ছিল বলে স্বীকার করেছেন মন্ত্রী। তবে মোদি সরকারের সময়ে নীতিগত পরিবর্তন এনে জোর দেওয়া হয়েছে অনুসন্ধানে। বিনিয়োগের পাশাপাশি ‘অ্যাক্টিভ এক্সপ্লোরেশন’ বা সক্রিয় অনুসন্ধানকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই কৌশল ইতিমধ্যেই সুফল দিচ্ছে। ২০২৪ অর্থবর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ওএনজিসি রেকর্ডসংখ্যক ৫৪১টি কুয়ো খনন করেছে, যা বিগত তিন দশকের মধ্যে সর্বাধিক। এর জেরে অসম, গুজরাট, রাজস্থান, মুম্বই ও কৃষ্ণা-গোদাবরী অববাহিকায় নতুন করে তেলের সন্ধান মিলেছে। পাশাপাশি বিশাখাপত্তনম, মাঙ্গালোর, পাদুর, ওড়িশা ও রাজস্থানেও তেল রিজার্ভ চিহ্নিত হয়েছে।

দেখুন আরও খবর:

Read More

Latest News