Wednesday, October 15, 2025
Homeলিডদুর্গাপুর কাণ্ডে ‘ধর্ষক একজনই'! বাকিদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে পুলিশ
Durgapur Incident

দুর্গাপুর কাণ্ডে ‘ধর্ষক একজনই’! বাকিদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে পুলিশ

বন্ধুর কথায় অনিচ্ছা সত্ত্বে মেয়ে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিল, বক্তব্য মায়ের  

ওয়েবডেস্ক- দুর্গাপুরের কাণ্ড ( Durgapur Incident) ঘিরে ক্রমশই রহস্যের জাল গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। এই কাণ্ডের তদন্তে নেমে প্রথমে পুলিশ তিনজন ও পরে দুজনকে গ্রেফতার করে। আর আজ নির্যাতিতার সেই বন্ধুকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। এতদিন তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিল পুলিশ। পরানগঞ্জের (Parangunge) সেই জঙ্গলে আজ তাকে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। সেই সঙ্গে এদিন নির্যাতিতার জবানবন্দি নেওয়া হয়। তার পরেই নির্যাতিতার পুরুষ বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়।

এখনও পর্যন্ত তদন্তের গতি প্রকৃতি অনুযায়ী ডাক্তারি পড়ুয়াকে (Medical Student)  ধর্ষণ করেছে একজনই। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাকিদে ভূমিকা কী ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে আসানসোল-দুর্গাপুরের কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী (Asansol-Durgapur Commissioner Sunil Kumar Chowdhury)  বলেন, ‘‘নির্যাতিতার সহপাঠীর ভূমিকাও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। সেই কারণেই  সহপাঠী শুক্রবার রাতে ঘটনার সময় যে পোশাক পরেছিলেন, সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সমস্ত অভিযুক্তের ডিএনএ পরীক্ষা হবে।

নির্যাতিতা ওড়িশা মেয়ে। বাংলায় বেসরকারি মেডিক্যাল ডাক্তারি পড়তে এসেছিলেন। নির্যাতিতার বাবা মায়ের দাবি, তার রাতে খাবার খেতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না। অনিচ্ছা সত্ত্বেও ওই পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে খাবার খেতে গিয়েছিল সে। নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, রাত ১০ টা নাগাদ মেয়ের এক সহপাঠী তাদের ফোন করে জানায়, মেয়ের গণধর্ষণ হয়েছে। আমরা জলেশ্বরে থাকি। মেয়েকে বাংলায় পড়াশোনার জন্য পাঠিয়েছিলাম। আমরা শুনি যে মেয়ে যখন খাবার কিনতে বাইরে গিয়ে ওর সঙ্গে ছিল এক সহপাঠী বন্ধু। মেয়ে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে আসতেই তাকে ঘিরে ফেলে তিন জন, তখন সহপাঠী বন্ধুটি সেখান থেকে চলে যায়। নির্যাতিতার মায়ের কথায়, মেয়েকে ধর্ষণ করার পর ওর কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। সেটা ফেরত দেওয়ার জন্য তিন হাজার টাকাও চায় তারা। সেই সঙ্গে কাউকে কিছু বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ওরা।

আরও পড়ুন-  দুর্গাপুর কাণ্ডে নয়া মোড়, গ্রেফতার নির্যাতিতার বন্ধু

দুর্গাপুরকাণ্ডে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি (Odisha Chief Minister Mohan Charan Majhi)  দ্রুত সুবিচারের জন্য সর্বস্তর থেকে চাপ তৈরি করা হবে বলে তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন মোহন। ফোনালাপের একটি ভিডিয়ো পরবর্তী সময়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিকে পাঠায় সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। সেখানে তাকে স্থানীয় ভাষায় বলতে শোনা গেছে, চিন্তা করবেন  না। ওড়িশা সরকার আপনার ও আপনার পরিবারে পাশে রয়েছেন। কোনওভাবে ধৈর্য্য হারাবেন না, মনে সাহস রাখুন।

দেখুন আরও খবর-

Read More

Latest News