ওয়েব ডেস্ক: ফের নারকীয় অপরাধে স্তম্ভিত দেশ। প্রথমে ধর্ষণ (Rape) ও নির্মমভাবে খুন (Murder), পরে প্রমাণ লোপাট করতে বাড়ির পাশেই ১০ ফুট গভীর গর্ত করে সেখানেই দেহ পুঁতে ইট ও প্লাস্টার দিয়ে জায়গাটি ঢেকে দেওয়া। গোটা ঘটনার শিকার এক পুত্রবধূ (Daughter-In Law), আর অভিযোগ শ্বশুরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার (Haryana) ফরিদাবাদে। ঘটনার প্রায় দু’মাস পর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করে। গ্রেফতার (Arrest) হয় অভিযুক্ত শ্বশুর ভূপ সিং। তবে এখনও পলাতক মৃতার শাশুড়ি, স্বামী ও ননদরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অরুণ ও তান্নুর বিয়ের মাত্র এক বছর পূর্ণ হয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণ-প্রথার শিকার হচ্ছিলেন তান্নু। শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে ক্রমাগত পণের জন্য মানসিক ও শারীরিক নিগ্রহ চলছিল। বহুবার তান্নু বাবার বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ করেছিলেন, কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। শেষমেশ সেই পণলোভী মানসিকতার শিকার হয়ে নির্মমভাবে খুন হতে হল তাঁকে।
আরও পড়ুন: আবার একটা নীল ড্রাম, আবার একটা খুন! এবার রহস্য লুধিয়ানায়
ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছে, ১৫ এপ্রিল খুনের পরিকল্পনা করা হয়। ২১ এপ্রিল রাতে অরুণ নিজের স্ত্রী তান্নু, মা সোনিয়া এবং বোন কাজলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে। এরপরই ভূপ সিং ঘরে ঢুকে তান্নুর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাঁকে হত্যা করে। অভিযোগ আরও গুরুতর—খুনের আগে শ্বশুর ধর্ষণ করেন পুত্রবধূকে। পুলিশের দাবি, খুনের ঘটনা সম্পর্কে অরুণ অবগত থাকলেও ধর্ষণের বিষয়টি সে জানত না বলে দাবি করেছে।
এরপর তান্নুর দেহ গোপনে মাটির নিচে পুঁতে দেওয়া হয়। বাইরে থেকে গর্ত ঢেকে দেওয়া হয় ইট ও সিমেন্টে। পরে জানানো হয়, জায়গাটি সেপটিক ট্যাঙ্ক খোঁড়ার জন্য খোলা হয়েছিল। এরপর এলাকায় ছড়ানো হয়, তান্নু নিখোঁজ। পরিবার মিলে সাজানো হয় নিখোঁজ নাটক। তদন্তের একপর্যায়ে পুলিশের সন্দেহ গড়ে ওঠে এবং দীর্ঘ তল্লাশির পর অবশেষে সেই গর্ত খুঁড়ে তান্নুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে ভূপ সিংকে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতে রেখে জেরা করা হচ্ছে। তার বয়ান থেকেই উঠে এসেছে গোটা ঘটনার রোমহর্ষক বিবরণ।
দেখুন আরও খবর: