ওয়েব ডেস্ক: দীপাবলির (Diwali) সন্ধায় আলোর জোয়ারে ভাসবে গোটা দেশ। অমাবস্যার অন্ধকারকে দূরে সরিয়ে আলো দিয়ে সাজানো হবে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট সবিকিছুই। তবে জানলে অবাক হবে যে, ভারতের পাহাড়ি গ্রামে আজও পালিত হয় না এই উৎসব। হিমাচলপ্রদেশের (Himachal Pradesh) হামিরপুর জেলার সাম্মূ গ্রাম দীপাবলির রাতেও ডুবে থাকে এক নীরব অন্ধকারে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই গ্রামে দীপাবলি উদ্যাপন নিষিদ্ধ। কারণ, স্থানীয়দের বিশ্বাস, আজও গ্রামের উপর সক্রিয় রয়েছে এক সতীর অভিশাপ (Curse Of Sati)। কী এই অভিশাপ? চলুন সেটা এবার জেনে নেওয়া যাক।
কথিত রয়েছে, প্রায় কয়েকশো বছর আগে, এক গর্ভবতী মহিলা দীপাবলির প্রস্তুতি সারছিলেন। তখনই যুদ্ধে নিহত তাঁর স্বামীর মৃতদেহ গ্রামে ফিরে আসে। শোকে বিহ্বল হয়ে সেই নারী স্বামীর চিতায় ঝাঁপ দিয়ে নিজেকেই শেষ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি অভিশাপ দিয়ে যান যে, সেই গ্রামে আর কখনও দীপাবলি উদ্যাপন হবে না। কেউ যদি উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠে, বিপর্যয় নেমে আসবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সাংসদদের অ্যাপার্টমেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড!
তারপর থেকেই সাম্মূ গ্রামে দীপাবলির দিন পালিত হয় একেবারে অন্যভাবে। গ্রামের লোকেরা সেদিন সর্বোচ্চ শুধু প্রদীপ জ্বালাতে পারেন। কিন্তু বাজি পোড়ানো, আলোসজ্জা বা উৎসবের আয়োজন একেবারেই বারণ। গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা ঠাকুর বিধি চাঁদ বলেন, “যখনই কেউ অভিশাপ ভাঙার চেষ্টা করেছে, তখনই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কখনও কারও মৃত্যু হয়েছে, কখনও হয়েছে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড।”
জানা যায়, গ্রামবাসীরা বহুবার পুজো, যজ্ঞ করে অভিশাপ মোচনের চেষ্টা করেছেন, কিন্তু ফল মেলেনি। তিন বছর আগে বিশাল এক যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল, তবুও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় কুমার। এই রহস্য ও বিশ্বাসের মাঝে আজও সাম্মূ গ্রামে দীপাবলির কাটে এক অদ্ভুত নীরবতায়।
দেখুন আরও খবর: