নয়াদিল্লি: সদ্য প্রাক্তন সেবি (Sebi) প্রধান মাধবী পুরী বুচ- (Madhavi Puri Buch) এর বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR)। এফআইআর করার নির্দেশ পিএমএলএ আদালতের ( PMLA Court) । অ্যান্টি করাপশন ব্যুরোকে (Anti Corruption Bureau) এফআইআর দায়েরের আদেশ আদালতের। শেয়ার বাজারে জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়েরের নির্দেশ আদালতের।
মাধবী ছাড়াও সেবির আরও তিন কর্তার বিরুদ্ধে মামলার আদেশ। একই সঙ্গে তদন্ত করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আদালতের কাছে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছে মুম্বই আদালত।
সেবি-র সিইও সুন্দররমণ রামমূর্তি, বিএসই-র চেয়ারম্যান প্রমোদ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ আদালতের। এক সাংবাদিকের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর-এর নির্দেশ। এই অভিযোগে বলা হয়েছে, সেবি আধিকারিকরা বাজারে প্ররোচনা সৃষ্টি করা, কর্পোরেট জালিয়াতিকে প্রশ্রয় দিয়ে শেয়ার বাজারে বড় ধরনের জালিয়াতিতে জড়িত হয়েছেন, বাজার নিয়ন্ত্রকের নিয়ম ভেঙেছেন তারা।
আরও পড়ুন: এপিক নাম্বার এক মানেই ভুয়ো ভোটার নয়, বিবৃতি দিল নির্বাচন কমিশন
অভিযোগকারী সাংবাদিকের বক্তব্য, পুঁজি বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা তার দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে, সেই কারণে আর্থিক জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। মাধবী পুরী বুচ ছাড়াও, আরও উচ্চপদস্থ কর্মীদের নামও রয়েছে এই অভিযোগে।
পূর্ণ সময়ের সদস্য অশ্বিনী ভাটিয়া, কমলেশ চন্দ্র বষ্ণৈ, অনন্ত নারায়ণ জী, বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান প্রমোদ আগরওয়াল, সিইও সুন্দরারমনের নামও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। ১৯৬৬ সালে মুম্বইতে জন্ম মাধবী পুরী বুচের। বরাবরই মেধাবী ছিলেন।
পড়াশোনা থেকে কেরিগ্রাফ সবই ছিল নজরকাড়ার মতো। অঙ্ক নিয়ে পড়াশুনা করেন। তার পর আইআইএম আমদাবাদ থেকে এমবিএ পাশ করেন। ১৯৮৯ সালে ব্যাঙ্কিং সেক্টরের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই বছর আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে যোগ দেন তিনি।
২০০৯ সালে আইসিআইসিআই সিকিউরিটিজের সিইও হন বুচ। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক ছেড়ে পরে তিনি সাংহাইয়ের সাংহাইয়ের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কে যোগ দেন। পরে প্রাইভেট ইক্যুইটি ফার্ম গ্রেটার পেসিফিক ক্যাপিটালের সিঙ্গাপুর শাখা পরিচালনের দায়িত্ব পান।
এর পর ভারতে এসে আইডিয়া সেলুলার এবং এনআইআইটি লিমিটেডের নন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পদে যোগ দেন। এর পর ২০১৭ সালে সেবির পূর্ণ সময়ের সদস্য হিসাবে নিয়োগ করা হয় মাধবী বুচকে। পরে ২০২২ সালে সেবির চেয়ারপার্সন হন মাধবী। চলতি বছরে মাধবীর জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হন তুহিনকান্ত পান্ডে। ১৯৮৮ সালে সেবি গঠনের পর তুহিনকান্ত হচ্ছেন একাদশতম চেয়ারপার্সন।
দেখুন অন্য খবর: