নয়া দিল্লি: পণের জন্য মৃত্যুর ক্ষেত্রে ফৌজদারি আইনের ৩০৪-খ (Penal Act 304-B) ধারার ভুল প্রয়োগ করছে নিম্ন আদালত। পরিস্থিতি বদলাতে জুডিশিয়াল একাডেমিগুলির হস্তক্ষেপের সময় এসেছে, জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পণের জন্য মৃত্যুর কারণে সাজাপ্রাপ্তের ক্ষেত্রে রায় খারিজ করে দেশের শীর্ষ আদালত জানাল, এক্ষেত্রে কোনও বিষয়গুলি বিবেচনা করতে হবে, তা সুপ্রিম কোর্ট বারংবার দেখিয়ে দিয়েছে।
ট্রায়াল কোর্টগুলি বারংবার একই ভুল করে চলেছে। তাই বিচারবিভাগীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পরিস্থিতি সামলাতে হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। মন্তব্য বিচারপতি অভয় এস ওকা ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার। আত্মহত্যা করে মৃত স্ত্রীর প্রতি নিষ্ঠুরতা ও পণের জন্য মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে কারাবাসী সংশ্লিষ্ট মামলাকারী।
আরও পড়ুন: কৃষি আয় বাড়াতে আসছে ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’
প্রথমত, এই ধারা অনুযায়ী কাউকে সাজা দিতে হলে মৃতজন আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অথবা শারীরিক ক্ষতের কারণে মৃত্যু অথবা মৃত্যুর কারণ স্বাভাবিক নয় বলে প্রমাণ থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, বিয়ের সাত বছরের মধ্যে ঘটনা ঘটে থাকতে হবে। তৃতীয়ত, মৃত্যুর অব্যবহিত আগে মৃতজন পনের দাবিতে নিষ্ঠুরতা বা হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন বলে প্রমাণের প্রয়োজন, জানিয়েছে আদালত।
সাক্ষ্য আইনের ১১৩-খ ধারা অনুযায়ীও প্রমাণ থাকতে হবে যে, মৃত্যুর ঠিক আগে মৃতজন নিষ্ঠুরতা বা হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। যার কারণ পণের দাবি। যদি এই প্রমাণ তদন্তকারীর কাছে না থাকে তাহলে এই ধারার প্রয়োগ করাই যাবে না, অভিমত আদালতের। নিম্ন আদালত আবেদনকারীকে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। হাইকোর্টে সেই রায়ের বহাল থাকে। সেই কারণে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন।
এক্ষেত্রে, তদন্তকারী ৩০৪-খ ধারার প্রয়োজনীয় উপাদান প্রমাণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। একটিও নিষ্ঠুরতার ঘটনার প্রমাণ নেই। অভিমত দিয়ে সাজার নির্দেশ খারিজ।
দেখুন আরও খবর: