ওয়েব ডেস্ক: দেবতা (God) কখনই প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা সামাজিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার উপকরণ হতে পারেন না। গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi) উপলক্ষে পুজোর অনুমতি নিয়ে ওঠা একাধিক মামলার (Case) শুনানিতে (Hearing) এমনই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের (Madras High Court) বিচারপতি বি. পুগালেন্ধী।
বিচারপতির মন্তব্য, অহংকার বা প্রভাব খাটানোর উদ্দেশ্যে পুজোর অনুমতি চাওয়ার প্রবণতা একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়। দেবতা সর্বদা একতা, শান্তি ও আধ্যাত্মিক উন্নতির প্রতীক। অথচ মামলাগুলির পিছনে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, বিপুল অর্থবল এবং আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা, যেখানে ধর্মীয় অনুভূতির অভাব রয়েছে বলেই মনে করে আদালত।
আরও পড়ুন: আজ ভোটার অধিকার যাত্রায় রাহুলের সঙ্গে স্টালিন ও কানিমোঝি
এইসব মামলার পর্যবেক্ষণে বিচারপতি আরও বলেন, “রাস্তার ধারে থাকা ছোট ছোট মন্দিরগুলি সারা বছর অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকে। অথচ গণেশ চতুর্থী এলেই হঠাৎ বিশালাকার মূর্তি প্রতিষ্ঠা ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন শুরু হয়।” তাঁর মতে, প্রকৃত ভক্তি প্রকাশ পায় ধারাবাহিক নিষ্ঠা, ধর্মস্থানের পরিচ্ছন্নতা ও আধ্যাত্মিক চর্চার মাধ্যমে, কখনই আড়ম্বর বা প্রদর্শনীর মাধ্যমে নয়।
এছাড়া, পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুজোর আগে প্রশাসনিক অনুমতি নিয়ে আদালতে মামলা দায়েরের যে প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, তেমনই চিত্র ধরা পড়েছে এই মামলাগুলিতেও। কেউ পুজোর অনুমোদন পাননি, কারও অভিযোগ পাশের আয়োজক অনুমতি পেলেও তাঁদের আবেদন খারিজ হয়েছে। তবে প্রায় সব আবেদনকারীই দাবি করেছেন, অনুমতি পেলে তাঁরা আইনশৃঙ্খলার কোনও সমস্যা তৈরি করবেন না এবং প্রশাসনিক গাইডলাইন মেনে চলবেন।
আদালতের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট, ভক্তির নামে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা প্রভাব বিস্তারের মানসিকতা দমনে প্রশাসনকে আরও সতর্ক হতে হবে। কারণ দেবতা কখনোই প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রতীক নন— তিনি একতা ও শান্তির প্রতিভূ।
দেখুন আরও খবর: